সংক্ষিপ্ত

সুদানের যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবথেকে খারাপ অবস্থা শিশুদের। ইদের জন্য ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে সুদানের যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধের যুদ্ধের সুদানে আহতের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০টি স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১২টি দেশে যাওযারও বন্ধ হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এই ভয়ানক লড়াইয়ের সময় অনেত আহত ব্যক্তি চিকিৎসা পায়নি। তাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের অধীনে থাকা ইউনিসেফ জানিয়েছেন যুদ্ধের কারণে এখনও পর্যন্ত ৯টি শিশুর মৃত্যুর খবর তারা পেয়েছে। ১৫০ শিশু আহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত।

ইউনিসেফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি দেশের শিশুদের ওপর একটি বিধ্বসী টোল নিচ্ছে। যতদিন সড়াই চলবে ততই দিনই শিশুদের তার মূল্য দিতে হবে। যুদ্ধের অর্থ হল অনেক পরিবার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাও। সুদানের পরিস্থিতি ভয়াবহ বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, বলেছেন খাবার, জল আর ওষুধ ফুরিয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে। তিনি বলেন এখনও পর্যন্ত অপুষ্ঠির হার সুদানের শিশুরাই বিশ্বের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। সংঘাতের কারণে তাদের আরও বেশি মূল্য চোকাতে হবে। তিনি বলেছেন, একাধিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের শিশুরা।

সুদানের হাসপাতালের বাইরে বোমাবাজি শুরু হয়েছে। অনেক সময় হাসপাতালের মধ্যেও ক্রসফায়ার হচ্ছে। হাসপাতাল ছেড়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসক আর নার্সরা। এই অবস্থায় সেইসব শিশুদের অবস্থা খুবই খারাপ হচ্ছে যাদের নল দিয়ে খাওয়াতে হয়। তাদের এই পরিষেবা দেওয়ার লোকের আভাব দেখা দিয়েছে হাসপাতালে।

সুদানে ৪০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন আর ইনসুলিন কোল্ড স্টোরেজে রাখা রয়েছে। যুদ্ধের কারণে সেগুলি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সেগুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকারক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন। শিশুদের রক্ষা করার জন্য সুদানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন কয়েছে।

তবে ইদ উপলক্ষ্যে আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য সুদানে যুদ্ধ বিরতির কথা ঘোষণা করেছে সুদানের আধাসামরিক বাহিনী ব়্যাপিট সাপোর্ট ফোর্স। অন্যদিকে আরএসএফ জানিয়েছে তারাও ৭২ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধ বিরতি পালন করবে। যা শুরু হয়েথে শুক্রবার থেকে। জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অধীনে সেনাবাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে থাকা আরএসএফের মধ্যে গত সপ্তাহান্তে সহিংস শক্তির লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকটি ব্যর্থ যুদ্ধবিরতি হয়েছে। এই দুই ব্যক্তি আগে সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের নেতা হিসেবে জোটে ছিলেন।