সংক্ষিপ্ত
তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্প! ১২৬ জনের মৃত্যু আহত প্রায় ২০০, গভীর শোক প্রকাশ দালাই লামার
মঙ্গলবার তিব্বত, নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তিব্বত ও নেপাল। এই ভূমিকম্প তিব্বতে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জন নিহত ও ১৮৮ জন আহত হয়েছেন। তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
সেন্ট্রাল টিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দালাই লামা জানান, "আজ সকালে তিব্বত ও আশপাশের এলাকায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কথা জানতে পেরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। "
ভূমিকম্পটি দুঃখজনকভাবে বহু মানুষের প্রাণহানি করেছে, আহত হয়েছে এবং ঘরবাড়ি ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তিনি আরও জানান, "যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।" বেশ কয়েক দশক ধরে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন দলাই লামা।
মঙ্গলবার তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জন নিহত ও ১৮৮ জন আহত হয়েছেন। কম্পনটি প্রতিবেশী নেপাল পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল, যেখানে লোকেরা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের জিগাজে ডিংরি কাউন্টিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, যদিও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা এটিকে ৭.১ মাত্রার বলে জানিয়েছে।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিব্বতের জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টি। আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেইজিং সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ডিংরি কাউন্টিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
শিগাজে শিগাস্তে নামেও পরিচিত। এটি ভারত সীমান্তের কাছে। শিগাৎসে তিব্বতের অন্যতম পবিত্র শহর। এটি তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পাঞ্চেন লামার ঐতিহ্যবাহী আসন। তিব্বতে পাঞ্চেন লামার স্থান দলাই লামার পরেই।