সংক্ষিপ্ত

নেপালে মঙ্গলবার সকালে যে কম্পন অনুভূত হয় রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৭.১। ভূমিকম্পে মৃত কমপক্ষে ৩৬।

বছরের শুরুতেই ভূমিকম্পের আতঙ্ক। যা নেপালে মারাত্মক আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। ২০২৩, ২০১৫-এর গোর্খা ভূমিকম্পের স্মৃতি এখনও টাটকা। এর মধ্যে আবারও ২০২৫ এর গোড়াতেই চোখ রাঙাচ্ছে এই আতঙ্ক। গত ২২ দিনে নেপালে ১০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে, মঙ্গলবার সকালে যে কম্পন অনুভূত হয় রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৭.১। ভূমিকম্পে মৃত কমপক্ষে ৩৬।

জানা গিয়েছে নেপালে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হল লাবুচ থেকে ৯৩ কিমি উত্তর-পূর্বে। এই কম্পন দেশের দিল্লি, পাটনা-বিহার-কলকাতা-সহ এক বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে অনুভূত হয়েছে। এমনকী শুধু ভারত নয় নেপালের এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ভূটান, চিন, বাংলাদেশও। এমনকী ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতেও এই কম্পনের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে।

 

 

কেন বারবার ভূমিকম্প হয় নেপাল-

ভূমিকন্পের জন্য নেপাল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় অবস্থিত দুটি টেকটনিক প্লেটের সীমানায় অবস্থিত। এই দুই ইন্দো অস্ট্রেলিয়ান এবং এশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলে এই এলাকায় প্রায় প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২০২৩ সালের ভূমিকম্পে নেপালে কয়েকশো মানুষের মৃত্য হয়েছে তখন রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬.৪।

 

 

২০১৫ সালে হওয়া ভূমিকম্পে তীব্রতা ছিল খানিকটা আজকের মতোই ৭.৮। নেপালেই ইতিহাসে এর চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয় আগে দেখেনি। এর ঠিক দশ বছর পরে আবারও ফিরে আসছে সেই স্মৃতি।বারবার এই ভূমিকল্পের ইঙ্গিতকে বিশেষজ্ঞরা ভালো ভাবে নিচ্ছেন না। তাঁধের আশঙ্কা এটা কোনও আরও বড় প্রাকৃতিক বিপর্যের ইঙ্গিত। হয়তো আরও বড় কোনও বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ঘন ঘন কম্পন।