সংক্ষিপ্ত

বিমানটি উড়ানের পরেই, বিমানটির একটি ইঞ্জিনে একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়েছিল এবং পাইলট কোনও ঝুঁকি নেননি। এয়ারলাইনস ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের বিকল্প ফ্লাইট দেওয়ার জন্য অন্যান্য এয়ারলাইনগুলির সঙ্গে কাজ করছে।

বুধবার ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের বিমান Airbus A321 একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়। করেছে। ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে বিমানটি চাঙ্গি বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বিমানটি সিঙ্গাপুর থেকে মুম্বাই যাচ্ছিল। এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক বিস্তারা মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে "সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, পাইলটরা ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং চাঙ্গি বিমানবন্দরে বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করেছিলেন"।

মুখপাত্র বলেছেন যে বিমানটি উড়ানের পরেই, বিমানটির একটি ইঞ্জিনে একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা তৈরি হয়েছিল এবং পাইলট কোনও ঝুঁকি নেননি। এয়ারলাইনস ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের বিকল্প ফ্লাইট দেওয়ার জন্য অন্যান্য এয়ারলাইনগুলির সঙ্গে কাজ করছে। ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইট অনুসারে, ফ্লাইট ইউকে ১০৬ স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় সিঙ্গাপুর থেকে উড়ান শুরু করেছিল। এরপর বিমানবন্দরে ফেরার আগে মালয়েশিয়ার ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।

প্রতিবেদনে মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে বেশিরভাগ যাত্রীকে একই দিনে ছেড়ে যাওয়া অন্যান্য ফ্লাইটে স্থানান্তর করা হয়েছিল। যদিও ভিস্তারা বোর্ডে কতজন যাত্রী ছিল তা নির্দিষ্ট করেনি, তার ওয়েবসাইট বলে যে এয়ারবাস A321 তার বহরে ১৮৮ জন যাত্রী বসতে পারে। কিছু যাত্রীকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের (এসআইএ) ফ্লাইটে স্থানান্তর করা হয়েছিল যা বুধবার সন্ধ্যায় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের খাবার ভাউচারও দেওয়া হয়েছিল।

এক সপ্তাহ আগে, দিল্লি থেকে আসা আরেকটি ভিস্তারা ফ্লাইটে ত্রুটি ধরা পড়ার পরে ফিরে যেতে হয়েছিল। নয়ই জানুয়ারী, দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরে ১৪০ জন যাত্রী বহনকারী একটি ফ্লাইট হাইড্রোলিক ত্রুটির মুখে পড়ে। এর পরে দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল ওই বিমানটিকে। ভারতের এভিয়েশন ওয়াচডগ, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ভিস্তারা হল টাটা সন্স এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স (SIA) এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ।

এদিকে, দিন কয়েক আগেই তিরুচিরাপল্লীগামী ইন্ডিগো ফ্লাইটের এক যাত্রী জরুরি দরজা খুলে দিয়েছিল। যা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানের বাকি যাত্রীদের মধ্যে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন বা ডিজিসিএ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

ইন্ডিগো বিমানে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে গত ১০ ডিসেম্বর। এর যাত্রী বোর্ডিং প্রক্রিয়া চলার সময়ই চেন্নাই থেকে তিরুচিরাপল্লীতে ইন্ডিগো ফ্লাইট 6E 7339 -এর জরুরি এক্সিট দরজা খুলে দিয়েছিলেন। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে, '২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর চেন্নাই থেকে তিরুচিরাপল্লি যাওয়ার ফ্লাইট 6E 7339 এর ভ্রমণকারী এক যাত্রী বোডিং প্রক্রিয়া চলাকালীন দুর্ঘটনাক্রমে জরুরি দরজা খুলে দিয়েছিলেন।