সংক্ষিপ্ত

বেহালায় কোভিডের মৃতদেহ ঘিরে আতঙ্ক। করোনা বিধি না মেনে করোনা দেহ বেহালা সখেরবাজারে এক বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে কোন সুরক্ষা ছাড়াই বাইরে বার করা হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ আবাসিকদের।

 

বেহালায় কোভিডের মৃতদেহ ( Covids deadbody) ঘিরে আতঙ্ক। করোনা বিধি না মেনে করোনা দেহ বেহালা সখেরবাজারে এক বেসরকারি নার্সিংহোম (Behala Private Hospital) থেকে কোন সুরক্ষা ছাড়াই বাইরে বার করা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ পাশের আবাসনের আবাসিকদের। এদিন ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।

 বেহালা সখের বাজার জেমস লং সরণির আবাসনের আবাসিকদের অভিযোগ কয়েকদিন আগেই একটি বেসরকারি নাসিংহোম তৈরি হয়েছে তাঁদের আবাসনের সামনে। সেখান থেকে করোনা মৃতদেহ কোনও বিধি-নিষেধ না মেনেই বাইরে বার করা হচ্ছে কোনও সুরক্ষা না মেনেই পরিবারের সামনে মৃতদেহগুলি আনা হচ্ছে। এমনকি মৃতদেহগুলি প্যাকিং পর্যন্ত করা হচ্ছে না। সেই অবস্থায় মৃতদেহগুলি তাদের পরিবারের সামনে আনা হচ্ছে। এবং করোনা মৃতদেহগুলিকে পরিবারের লোকজন মালা দিচ্ছে। কান্নাকাটি করছে। এমনকি আবাসনের আবাসিকদের যাতায়াতের রাস্তায় যেখানে মৃতদেহগুলো রাখা হচ্ছে বের করা হচ্ছে। সেখানে স্যানিটাইজ পর্যন্ত করা হচ্ছে না বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। 

আবাসনের আবাসিকদের বক্তব্য, তিনটি আবাসন মিলিয়ে তারা ৬৪টি পরিবার এখানে বসবাস করে  তাদের আবাসনের সামনেই এরকমভাবে প্রকাশ্যে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই এই করোনা মৃত দেহগুলো বের করা হচ্ছে। এর ফলে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে আবাসিকদের। এই আবাসিকদের আরো  অভিযোগ যে  এই ব্যাপার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তারা কিন্তু কোনওরকম সুরাহা তারা পাননি। তাই এদিন তাঁরা ঠাকুরপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, লাগামছাড়া কোভিডের মাঝে এই ঘটনা যে  ভয়াবহ আকাশ ধারণ করতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম কোভিড আক্রান্ত দেহ থেকে যাতে কোনওভাবে সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্য কড়া নিয়মবিধি আগে থেকেই ঘোষণা করেছে সরকার। প্রথম কোভিড বর্ষে মৃত্যুর পর কোভিড দেহকে দেখার সুযোগটুকুও পায়নি পরিবারের সদস্যরা। পরে বিধি বদলে প্লাস্টিকের প্যাকিংয়ের ট্রান্সপারেন্ট অংশ থেকে দেখার সুযোগ মেলে। তাও কাছে দাঁড়িয়ে নয়, নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই। কারণ এমন ভয়াবহ মহামারি মুহূর্তে শরীরে ঝাপিয়ে পড়তে পারে, যদি কোনও যোগাযোগের মাধ্যম পায়। এদিকে ২০২২ সালে এই মুহূর্তে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি ওমিক্রণ আতঙ্কে কাঁপছে গোটা ভারত তথা রাজ্যে। এহেন মুহূর্তে এমন গাফিলতি কী করে হল, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এই মুহূর্তে ভীষনই আতঙ্কের মধ্য়ে রয়েছে বেহালাবাসী।