সংক্ষিপ্ত

আসানসোলে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে বলি তারকা তথা প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে। আর বালিগঞ্জে তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন বাবুল সুপ্রিয়। এঁরা দু'জনেই এর আগে বিজেপির সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। তারপর সেখান থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। আর এনিয়ে এবার কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।

১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। শনিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পরই রবিবার এই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোলে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে বলি তারকা তথা প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে। আর বালিগঞ্জে তৃণমূলের টিকিটে লড়বেন বাবুল সুপ্রিয়। এঁরা দু'জনেই এর আগে বিজেপির সঙ্গ যুক্ত ছিলেন। তারপর সেখান থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। আর এনিয়ে এবার কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। 

এনিয়ে টুইট করেছেন বিজেপির আইটিসেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, "অনেকেই ভেবেছিলেন তৃণমূলের যুব প্রেসিডেন্ট সায়নী ঘোষকে আসানসোলে প্রার্থী করা হবে। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাগ্নেকে ছোট করার জন্যই, আসন থেকে সায়নীকে বাদ দিয়েছেন। আর সেখানে শুধুমাত্র আসানসোল নয়, বাংলার জন্যও একজন সম্পূর্ণ বহিরাগতকে প্রার্থী করেছেন।" পাল্টা মালব্যকে এর জবাব দিয়েছেন সায়নী। কিছুটা শত্রুঘ্নর মতো করেই টুইটারে এর জবাব দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। লেখেন, "প্রিয় মিস্টার মালব্য, খামোশ (চুপ করুন)!!"

 

 

যদিও বিরোধীদের কোনও কথায় গুরুত্ব দিতে নাজার তৃণমূল। এনিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমরা খুবই আনন্দিত প্রার্থী নিয়ে। আমরা সকলে মিলে পশ্চিমবঙ্গে যে ধারা তৈরি করেছি, যেখানেই ঘাসফুল প্রার্থী দাঁড়াচ্ছেন বিপুল ভোটে জিতছেন এবারও তাই হবে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।"

 

 

উল্লেখ্য, কংগ্রেসের হাত ধরেই রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন শত্রুঘ্ন। এর আগে পটনা সাহিব থেকে বিজেপির সাংসদ ছিলেন তিনি। কিন্তু, পরে বিজেপির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দল ছেড়ে দেন। তারপর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। এতদিন তিনি তৃণমূলের বিদেশনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শদাতার কাজ করতেন। অবশ্য এতদিন সক্রিয় রাজনীতির মধ্যে দেখা যায়নি তাঁকে। আর এবার সবাইকে একেবারে চমকে দিয়ে তাঁকেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করলেন মমতা। 

এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তারপর গত বছর ৪ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। ফলে ফাঁকা হয়ে রয়েছে সেই কেন্দ্রটি। তাই এবার সেখানে উপনির্বাচন হবে। আর এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে বাবুলকে। শত্রুঘ্নর মতো বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। বিজেপিতে থাকাকালীন আসানসোল থেকেই লোকসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। বিজেপি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সাংসদ পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। আর এবার তৃণমূলের টিকিটে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জেতা কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন তিনি।