সংক্ষিপ্ত
আনিস খান হত্যা মামলায় সিটের রিপোর্টে খুশি নয় মামলাকারীরা। রিপোর্ট নিয়ে আদালতের কাছে মামলাকারীদের তরফে একাধিক প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
আনিস খান হত্যা মামলায় সিটের রিপোর্টে খুশি নয় মামলাকারীরা। রিপোর্ট নিয়ে আদালতের কাছে মামলাকারীদের তরফে একাধিক প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। গোটা ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তদন্ত নিয়ে কী আপত্তি রয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীদের সেই সংক্রান্ত হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আনিস খান হত্যা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে গত সপ্তাহেই রিপোর্ট পেশ সিট। সেই রিপোর্ট নিয়েই খুশি নয় মামলাকারীরা অর্থাৎ মৃতের পরিবার।এই বিষয়ে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'বলা হচ্ছে আনিসের মৃত্যু হয়েছে। এটা একেবারেই সত্যি না। তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও তদন্তই হচ্ছে না। অনুসন্ধান চলছে। অপরাধীদের খোঁজার চেষ্টাও চলছে না। জিজ্ঞাসাবাদও হচ্ছে না। পলিগ্রাফের মাধ্যমে প্রমাণের চেষ্টা চলছে যে এটা হত্যা নয়, আত্মহত্যা। কিন্তু এটি পরিকল্পিত খুন।' আর এরপরেই মামলাকারীদের হয়ে অন্য সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, আনিস হত্যাকাণ্ডে মৃত যুবকের বাবা সালাম খানের অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশের পোশাক পরিহিত ৪ জন লোক বাড়ির ভেতরে ঢুকে আনিসকে খুন করে। পরিবার সূত্রে খবর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আনিস আগাগোড়া কলকাতাতেই থাকতেন। তিন দিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা পাড়ার একটি জলসাতে গিয়েছিলেন। এরপরে গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ চার জন লোক রাত ১টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে যান। ওই চারজনের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা থাকলেও বাকিদের শরীরে জলপাই রঙের পোশাক পরা ছিল। আমতা থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা তিনতলা থেকে আনিসকে ফেলে দেয়। এরপরেই মৃত্যু হয় আনিসের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।
আরও পড়ুন, 'বাঁচার সম্ভাবনা কম, ওঁকে মেরে ফেলা হতে পারে,' অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
আরও পড়ুন, নির্যাতিতার মৃতদেহ দাহ করতে জোর খাটিয়েছিল, হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআরও জালে আরও ৩
এদিকে প্রথম থেকেই আনিসহত্যাকাণ্ডে বারেবারে পুলিশ ও সিটের সদস্যরা সালেম খানের বাড়িতে এসে তাকে রাজ্য পুলিশের তদন্তের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেন। তবে রাজ্যের পুলিশ ও তাদের তদন্তের উপরে কোনও ভরসা নেই বলেই জানিয়ে দেন আনিশের বাবা ও ভাই। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই আনিস খানের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আনিসের দেহ ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়েছে। দেহের কোনও অংশের আঘাত যাতে নজর এড়িয়ে না যায়, তাই বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।তাঁদের কথায়, দেহের কোনও অংশ বাদ দেওয়া হয়নি।তার জন্য এক্সরে সহ যা যা দরকার সব করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রথম ও দ্বিতীয়ের মধ্যে রিপোর্টের কোনও ফারাক রয়েছে কি না জানতে চায় সিট। যদিও এদিন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায় মামলার মোড় ঘোরে।
আরও পড়ুন, 'মোদী-যোগী চুপ কেন', উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পৌঁছে সরব সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস