সংক্ষিপ্ত

  • প্রাইভেট স্কুলগুলির খরচ খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের কমিটি
  •  বিশিষ্ট কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিল কলকাতা হাইকোর্ট
  •   ১২১ টি বেসরকারি স্কুলের অর্থ ব্যয় খতিয়ে দেখতে রাজ্য়কে প্রস্তাব
  •  কমিটির একজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস

প্রাইভেট স্কুলগুলির খরচ খরচা খতিয়ে দেখতে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার রাজ্যের প্রায় ১২১ টি বেসরকারি স্কুলের অর্থ ব্যয় সহ বিভিন্ন  দিক খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিল রাজ্য সরকারকে। কমিটির একজন সদস্য হিসেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে কোর্টের তরফে। আরও এক সদস্যের নাম রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে জানাতে বলা হয়েছে। আদালত চায়, পৃথক কমিটি থাকলে স্কুলের খরচ নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে। মঙ্গলবার মামলার রায় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কোর্টে।  

গত ২১ জুলাই ডিভিশন বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছিল, ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুলের সমস্ত বকেয়া ফি জমা দিতে হবে পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরকে। ১৫ অগস্টের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া ফি। তবে সমস্ত বকেয়া না পারলেও অন্তত ৮০ শতাংশ ফি মেটাতেই হবে বলে অভিভাবকদের নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট।  এদিন ফের শুনানির জন্য মামলাটি আসে। সেখানে কোর্টের তরফে স্কুলের খরচ খরচা খতিয়ে দেখতে আলাদা কমিটি গড়ার প্রস্তাব দেয় কোর্ট।

বস্তুত, বিনীত রুইয়া নামে এক অভিভাবক গত ৭ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে অনলাইন মারফত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন প্রাইভেট স্কুলগুলির বিভিন্ন খাতে ফি নেওয়ার প্রতিবাদে। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারির জেরে গত মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত স্কুল বন্ধ। অথচ প্রাইভেট স্কুলগুলি টিউশন ফি সহ বিভিন্ন খাতে ফি নিয়ে চলেছে৷ স্কুল বন্ধ অথচ টিউশন ফি ছাড়া বাকি ফি কেন নেওয়া হবে এই নিয়ে শহর কলকাতার বিভিন্ন দিকে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ কিন্তু প্রাইভেট স্কুলগুলি ফি নিয়ে তাদের অবস্থানে অনড় থাকে। অভিভাবকদের বক্তব্য, স্কুল বন্ধ রয়েছে অথচ কম্পিউটার ক্লাস, স্কুলের উন্নয়নমূলক খাতে সহ একাধিক খাতে ফি নেওয়া হচ্ছে৷ এগুলি নেওয়া এখন বন্ধ করুক স্কুল। কিন্তু স্কুলগুলির দাবি, স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষক সহ স্কুলের অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে৷