সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে একটানা বৃষ্টিতে অনেক জায়গাতেই কমবেশি জল জমেছে। এদিকে পরিষ্কার জলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর আশঙ্কা সবসময় বেশি থাকে।গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি কি, ইতিমধ্য়ে ডেঙ্গু নিধনে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
রাজ্যে একটানা বৃষ্টিতে অনেক জায়গাতেই কমবেশি জল জমেছে। এদিকে পরিষ্কার জলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর আশঙ্কা সবসময় বেশি থাকে। যদিও আর এবার গত কয়েকদিনের একটানা ভারী বৃষ্টিতে ফেলে দেওয়া টাওয়ার থেকে শুরু করে বাতিল বালতিতে জমে নেই তো জল, তাহলেই কেলেঙ্কারি। ইনভার্টারের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া নামে অনেক সময়ই, বেখেয়ালে বৃষ্টির অ্যাসিডিক জল সঞ্চয় হয়ে থাকে। আর সেখানেই সংসার গুছিয়ে সন্তানের জন্ম দেয় ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গুর মশা। আর এই ডেঙ্গুর আঁতুরঘর বিশেষ করে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। গত কয়েক বছর ধরে কোভিডের সঙ্গে সমানভাবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু নিয়ে ভীষণভাবেই সতর্ক কলকাতা পুরসভা। তবে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি কি, ইতিমধ্য়ে ডেঙ্গু নিধনে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নবান্নে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মমতা নবান্নে বলেন, উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় ডেঙ্গু সক্রমণের প্রবণতা রয়েছে। তাই নতুন করে নজর দিতে হবে উত্তর ২৪ পরগণা জেলাকে। বৈঠকে ডেঙ্গু নিধনে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে ম্যালেরিয়া দমনে পদক্ষেপগুলি কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তার স্কীকৃতি পেয়েছে রাজ্য। ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মল অভিযানে সাফল্যের খুব কাছাকাছি এসে পৌছেছে রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের শুরুতেই সেজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, রাতের বৃষ্টিতে ফিরল স্বস্তি, আজও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বর্ষণ বঙ্গে
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে প্রবল বর্ষণ হয় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। এর মধ্যেই সবচেয়ে আশঙ্কাজনক জায়গা ছিল দুই ২৪ পরগণা সহ পূর্ব মেদিনীপুর। যেখানে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি হয়েছিল। এদিকে প্রবল বর্ষণের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া তো বটেই রোগ জীবাণুও টেনে আনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এদিকে পরিষ্কার জলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর আশঙ্কা সবসময় বেশি থাকে। আর এভাবেই আক্রান্তও হন প্রতিবছর অনেক মানুষ। পুরসভাগুলি থেকে প্রতিবারই ফেস্টুন, পথযাত্রা করে মশারি ব্যবহার করতে বলা হয়। যদিও দারিদ্রতা সীমার নিচে থাকা, রোজগার হারানো মানুষগুলির মশারীর নিচে শোওয়া, নিতান্তই স্বপ্ন থেকেই যায়। তারপর যাওবা বিনামূল্যে সরকারি প্রদানে মশারী জোটে, তাও ভাসিয়ে নিয়ে যায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
আরও পড়ুন, 'কলকাতা ৭১' বদলাল কি বাইশে ? মৃণাল সেনের জন্মদিনে ফিরে দেখুন পরিচালকের ফ্রেমটা
প্রসঙ্গত, রাজ্যের কোভিডের তৃতীয় ঢেউ কমলেও এখন উদ্বেগ বাড়িয়েছে ডেঙ্গু। যা নিয়ে ইতিমধ্য়েই সতর্ক রাজ্য সরকার। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, গতবছর দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ক্রমশ বাড়ে ডেঙ্গু। এই রাজ্যগুলি ছাড়াও গতবছর ডেঙ্গু সংক্রমণের খবর মিলেছিল দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকেও। ফলে বেশ উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একুশ সালে হরিয়ানা, কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীরে-এই রাজ্যগুলিতে বিশেষ টিম পাঠায়। কীভাবে এই ডেঙ্গুর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তার পদক্ষেপ করতেই টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত বলে খবর। একুশ সালে দেশ জুড়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে মোট ১,১৬,৯৯১টি ডেঙ্গুর ঘটনা সামনে এসেছিল। যার আতঙ্কের রেশ এখনও লেগে আছে বাইশেও।
আরও পড়ুন, বিশ্বের বাজারে কমেছে অপরিশোধিত তেলের দর, আজ পেট্রোল-ডিজেলের কি দাম কলকাতায়