সংক্ষিপ্ত

আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের শাসক দল বিজেপি যাতে সুবিধে না পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার বিকেল তিনটে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বেঠক ডাকা হয়েছে। 

লক্ষ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। মঙ্গলবার বিকেলে দুই দিনের সফের দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট করাই তাঁর মূল প্রচেষ্টা। ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে একটি চিঠিও দিয়েছেন বিরোধী দলের প্রধানদের। বৈঠক করার কথাও বলেছেন তিনি। 

আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনে দেশের শাসক দল বিজেপি যাতে সুবিধে না পায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার বিকেল তিনটে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বেঠক ডাকা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখেই দিল্লির অ-বিজেপি দলগুলিকে একত্রিত করার চেষ্টা করছেন তিনি। 

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে ইতিমধ্যেই প্রায় ২২ জন অবিজেপি নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। যদিও তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন মমতা। যদিও কংগ্রেস সূত্রের খবর এই বিষয় নিয়ে সনিয়ো গান্ধী আগেই মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের পছন্দের প্রার্থীর কথা জানতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এজাতীয় বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়ায় কংগ্রেস কী ভূমিকা নেবে তা নিয়ে সংশয় রেছে। 

সূত্রের খবর দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে মমতা যে বৈঠক ডেকেছেন সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরে, পিনারাই বিজয়ন, নবীন পট্টনায়েক, কেসি রাও, এমকে স্ট্যালিন, হেমন্ত সোরেন, ভগবন্ত মান,। এছাড়াও থাকতে পারেন সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, অখিলেশ যাদব, এইচ ডি কুমারাস্বামী, ফারুক আব্দুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি। এদিনের বৈঠকেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হতে পারে। তাই বিরোধীদের এক জোট করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি  খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তেমনই জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির পদপ্রার্থী হিসেবে শরদ পাওয়ারের নাম ঘোরাফেরা করছে দিল্লির রাজপথে। 

যদিও সূত্রের খবর বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হতে রাজি নন শরদ পাওয়ার। এনসিপি-র একটি সভায় তিনি এই কথা জানিয়েছেন। ৮১ বছরের শরদ পাওয়া জানিয়েছেন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের লড়াইয়ে সামিল হতে রাজি নন। হেরে যাওয়া কোনও যুদ্ধে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না। তাঁর আশঙ্কা বিজেপির সঙ্গে টক্কর দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য প্রয়োজনীয় ভোট বিরোধীরা জোগাড় করতে পারবে না। তিনি হেরে যাওয়া একটি যুদ্ধে সামিল হতে রাজি নন। তবে তিনি তাঁর অনিচ্ছার কথা এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসকে জানাননি।