সংক্ষিপ্ত
- বাংলায় প্রবল শক্তি নিয়ে আসতে চলেছে ঘূর্ণীঝড় 'যশ'
- নবান্নে কন্ট্রোল রুমে রাতভর নিজে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী
- সমুদ্র মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
- রবিবার দুপুরেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণেরও পূর্বাভাস
রবিবার আংশিক মেঘলা আকাশ শহরে। পারদ-আদ্রতা চড়ে তীব্র অস্বস্তি কলকাতায়। তার উপর মেঘলা আকাশ আরও বেশি যেনও উসকে দিয়েছে। যদিও আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার সকালেই নিম্ন-চাপ ব্যবস্থাটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ধরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
বাংলায় আসতে চলেছে ঘূর্ণীঝড় 'যশ'। সদ্য ঘূর্ণীঝড় তাউতে তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে ভারতের পশ্চিম উপকূল। কেরালা, মহারাষ্ট্র, গুজরাটে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে এই ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়। আর তারই মাঝে এবার আমফানের বিভীষিকাময় স্মৃতি নিয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঝড় 'যশ'। মৌসম ভবনের দেওয়া পূর্বভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণীঝড় 'যশ'। ২৬ মে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে সেই ঝড় আছড়ে পড়বে বলে জানা যাচ্ছে। ঘূর্ণীঝড় 'যশ' এর শক্তিও হবে আমফানের মতোই। শনিবারই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের উপরে এই নিম্নচাপ ব্যবস্থা গঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এই নিম্নচাপ ক্রমশ অতি তীব্র আকার ধারণ করে ঘূর্ণীঝড়ে পরিণত হবে বলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ২৩ মে সকালে নিম্ন-চাপ ব্যবস্থাটি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ধরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ২৪ মে এই ঘূর্ণিঝড় আরও তীব্র আকার ধারণ করবে এবং পরের ২৪ ঘন্টায় এটি আরও ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তীব্রতা বাড়র সঙ্গে সঙ্গে এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। ২৬ মে সকালে, এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ওড়িশা এবং বাংলাদেশ উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোরসাগরে পৌঁছাবে। ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে স্থলভাগে প্রবেশ করবে এই ঘুর্ণিঝড়।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় ছুটি বাতিল বিদ্যুত দফতরের কর্মীদের, প্রস্তুতি তুঙ্গে নবান্নে
ঘূর্ণীঝড় যশের মোকাবিলাতে আগের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ের মতোই এবারও কন্ট্রোল রুমে নিজে থাকবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। নবান্নের ভিতরেই এই কন্ট্রোল রুম তৈরি হবে। উল্লেখ্য, ফণী, আমফান অন্যান্য শক্তিশালী ঝড়ের সময়তেও রাজ্যবাসী পাশে থেকে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবারেও তার অন্যথা হবে না। যে সময়ে ঘূর্ণীঝড় আছড়ে পড়বে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে, ওই দিনগুলিতে কন্ট্রোলরুমে রাতভর নিজে থাকবেন মমতা। ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ নম্বরে ফোন করে সেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। শনিবার বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির ডিএম এবং এসপি, কেন্দ্র ও রাজ্যের সমস্ত সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে ব্যাপক পর্যালোচনা করেছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।মমতা টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারি কর্তাকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার আশ্রয়কেন্দ্রকে প্রস্তুত রাখা, অবিলম্বে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এবং উপকূলীয় ও নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলির মানুষদের নিরাপদ এলাকায় দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অগ্রিম পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৎসজীবীদের অবিলম্বে ফিরে আসার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
রবিবার বাংলায় আদ্রতাজনিত কারণে তীব্র অস্বস্তি লাগবে। আবহাওয়া দফতরে খবর অনুযায়ী,রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.২ ডিগ্রী। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি উপরে। অপরদিকে এদিন শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।আবহাওয়া দফতরে খবর অনুযায়ী,শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.০ ডিগ্রী। স্বাভাবিকের থেকে ৩ডিগ্রি উপরে। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৯ ডিগ্রী। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। অপরদিকে এদিন শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫২ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৯ ডিগ্রী। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নীচে। অপরদিকে এদিন শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।