সংক্ষিপ্ত
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় বেহাল শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
মোকাবিলার জন্য এগিয়ে এলেন শহরের উদ্যোগপতিরা
এন্টারপ্রেনারস অফ কলকাতা নিল ব্রিদ এগেইন কর্মসূচি
কীভাবে সরকার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সহায়তা করছেন তাঁরা
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় টলমল করছে শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এই অবস্থার মোকাবিলার জন্য একটি 'র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স' গঠন করতে এগিয়ে কলকাতার বেশ কয়েকজন উদ্যোগপতি ও ব্যবসায়ীদের সংস্থা এন্টারপ্রেনারস অফ কলকাতা বা ইওকে। 'ওয়াও! মোমো'র প্রতিষ্ঠাতা সাগর দারানি, ইনফিনিটি গ্রুপের মালিক পুলক চামারিয়া, চায়ে ব্রেক-এর প্রতিষ্ঠাতা আদিত্য লাদসারিয়া আনমল ফিডস-এর এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিত সরোগির মতো ব্যবসায়ীরা যুক্ত আছেন এই সংস্থার সঙ্গে। আর এই উদ্যোগটির নাম দেওয়া হয়েছে 'ব্রিদ এগেইন', বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'ফের শ্বাস নিন'।
'ব্রিদ এগেইন' কর্মসূচির লক্ষ্য, শীর্ষস্থানীয় সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল ও সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বে কোভিডের চিকিৎসার জন্য ৫০০-র বেশি এইচডিইউ এবং আইসোলেশন বেড স্থাপন করা, অক্সিজেন সরবরাহ এবং অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর সংগ্রহ, ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ যন্ত্র এবং অন্যান্য চিকিত্সা যন্ত্র সংগ্রহের জন্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে সমর্থন করা। এরজন্য 'ইওকে' তাদের নিজস্ব যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে তহবিল সংগ্রহ করছে। কলকাতা শহরের শীর্ষস্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে অংশীদারীর ভিত্তিতে আরও কোভিড শয্যা স্থাপন করছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থাও করছে।
ইতিমধ্য়েই ইওকে টেকনো ইন্দো-ডামা হাসপাতালে কলকাতা ভিশনারি, রোটারি ক্লাব অব ক্য়ালকাটা ভিশনারিস এবং ডিস্ট ৩২৯১-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে ২৫টি আইসিইউ বেড এবং কলকাতার গিভস-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে ওই হাসপাতালেই আরও ৭৫ টি আইসোলেশন বেড স্থাপন করেছে। এইচইউজে হাউসে কলকাতা গিভস এবং চার্নক হাসপাতালের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ইওকে ৫০টিরও বেশি আইসিইউ শয্য়া-সহ আরও ২০০টি শয্যা স্থাপন করেছে। সেইসঙ্গে মহারাষ্ট্র চেম্বারস অফ কমার্সের মাধ্যমে এবং টেমাসেক সিঙ্গাপুরের সহায়তায়, সিঙ্গাপুর থেকে ৫০টিরও বেশি বাইপ্যাপ ভেন্টিলেটর আমদানি করছে ইওকে।
সাগর দারানি বলেছেন, সরকার ও হাসপাতালগুলি সহায়তা করাই তাঁদের লক্ষ্য। এই প্রয়োজনের সময়ে শহরকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার তাগিদেই কলকাতার ব্যবসায়ী এবং স্টার্ট-আপ মহল এই উদ্যোগ নিয়েছে। কলকাতার আরও বেশি মানুষকে এই উদ্যোগে সামিল হতে অনুরোধ করেছেন তিনি। আনমল ফিডসের এমডি অমিত সারোগি বলেছেন, ভাইরাসটি মানব সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেও, লড়াই করেই এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে। ইওকে এবং এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত সকলেই এই মুহুর্তে দেশবাসীকে সহায়তা করার জন্য নিবেদিত।