সংক্ষিপ্ত
সংবিধান বিরোধী মন্তব্য করেছেন, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইটে করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মূলত 'রাজা বসে আছেন', মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বেজায় চটেছেন রাজ্যপাল।
সংবিধান বিরোধী মন্তব্য করেছেন, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইটে করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মূলত 'রাজা বসে আছেন', মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বেজায় চটেছেন রাজ্যপাল। এরপরেই ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত শুরু। এটা অত্যন্ত অপমানজনক বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeep Dhankhar)।
প্রসঙ্গত, গোয়া সফরে গিয়ে দলীয় প্রচারের মাঝে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আচমকাই রাজ্যপালকে 'রাজভবনের রাজা' বলে কটাক্ষ করেন। এরপরেই ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'বিস্মিত, ১৬ ডিসেম্বর গোয়া সফরে গিয়ে এ কী ধরনের শব্ধ ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজভবনের এক রাজা, এটা কী ধরনের কথা। মুখ্য়মন্ত্রী কি জানেন না, রাজ্যপালের পদ একটি সাংবিধানিক পদ। এবং এই দায়িত্ব একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব।' পাশাপাশি এদিন অফর এখটি টুইটে রাজ্য়পাল লেখেন, রাজ্যপালকে নিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের এ ধরণের মন্তব্য অত্যন্ত অপমানজনক এবং কুরুচিকর। এই ধরণের মন্তব্য করে উনি কেবল অপমানই করেননি, সাংবিধানিক পদমর্যাদা খুন্ন করেছেন। এই ধরণের মন্তব্য সংবিধান বিরোধী।' গোয়া সফরকে কেন্দ্র করে ফের রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত শুরু বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে এখনও হাওড়া পুরসভা ভোটের বিল ইস্যুতে জটিলতা কাটেনি। হাওডা় পুরবিলে সই করেননি রাজ্যপাল। যা নিয়ে রীতিমত কয়েকদিন ধরেই টানা সংঘাত চলছে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চকে রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে জানান, 'হাওড়া ও বালি পুরসভার বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল।তাই সেখানে ভোট হতে আর কোনও সমস্যা নেই।' এদিকে এরপরেই শুভেন্দু অধিকারি দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে। তিনি কোনও পুরবিলে সই করেননি বলেই জানিয়েছেন। টুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, 'হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলটি এখনও রাজ্যপালের বিবেচনাধীন।' এরপরে রাজ্য়পালের এই টুইটের পরেই বাড়ে জটিলতা।
অপরদিকে, সাম্প্রতিক কালে শুধু হাওড়া পুরভোট নয়,রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সকল বিশ্ব বিদ্যালয়ের আচার্য নিয়োগ নিয়েও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বিরোধীতায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে পরামর্শদাতা নিয়োগ নিয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। ২৬ নভেম্বর বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট অর্থাৎ পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে মুখ্যসচিবকে রাজ্যেপালের কাছে যেতে হবে। তবে এতকিছুর রাজ্যপালের টুইট ঘিরে নয়া সংঘাত শুরু হয়েছে।