সংক্ষিপ্ত
- কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
- মমতাকে জবাব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
- বাংলাতেই গোপনীয়তা নেই, অভিযোগ রাজ্যপালের
ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। পাল্টা অভিযোগ তুলে বললেন, এরাজ্যেই অনেকের গোপনীয়তা ভঙ্গ হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। কীসের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী আড়িপাতার মতো অভিযোগ তুলছেন, সেই প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছেন ধনখড়। ঘটনাচক্রে এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী একই বিষয়ে আক্রমণ করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপি নেতারা। ফলে ফোনে আড়ি পাতা বিতর্কে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রাজ্যপালের অভিযোগের সুর মিলে গিয়েছে।
শনিবার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ফোনেও আড়ি পেতে তথ্য সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ফোনে কথা বলা থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করা,, কোনও কিছুই এখন নিরাপদ নয়। এ দিন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিয়ে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবি কোন তথ্যের ভিত্তিতে বলেছেন, তা উনিই জানেন। আমি শুধু বলতে পারি, আমার সঙ্গে রাজনীতি, শিল্প, উচ্চ আধিকারিকদের মতো অনেকেই দেখা করে নিরন্তর একটিই অভিযোগ করেছেন। সেটা হচ্ছে এ রাজ্যে তাঁদের গোপনীয়তা ভঙ্গ হচ্ছে। এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়, আত্মবিশ্লেষণ করার মতো বিষয়। তাঁরা নিশ্চয়ই এটা বুঝতে পারছেন বলেই এমন অভিযোগ করছেন।'
রাজ্যপালের সুরেই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেছেন, রাজীব কুমারকে দিয়ে গত দু' বছর ধরে রাজ্যের বিরোধী নেতাদের ফোনে আড়ি পাতছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এর জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামেরও আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর কথা যখন কেউ শোনেন না তখনই এসব আবোল তাবোল অভিযোগ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। ওনার যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে আদালতে যাচ্ছেন না কেন?'
যেভাবে এ দিন রাজ্যপাল সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের জবাব দিলেন, তাতে নিঃসন্দেহে তাঁর সঙ্গে শাসক দলের সংঘাত আরও তীব্র হবে। এ দিন অবশ্য শুধু ফোনে আড়িপাতা নয়, কেন্দ্রের থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকার তা ব্যবহার না করে রাজ্যের বাসিন্দাদের বঞ্চিত করছে বলেও সরব হয়েছেন ধনখড়। সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী হামলায় ভিলেজ পুলিশ খুনের ঘটনাতেও ফের একবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল।