সংক্ষিপ্ত
সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে রাজ্য বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত করেছেন রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। সমস্যা সমাধানে এবার মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) রাজভবনে বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যপাল।
জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) দায়িত্বে আসার পর থেকেই বাংলায় রাজ্য (State) ও রাজ্যপালের (Governor) মধ্যে সংঘাত অন্যমাত্রা পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) ও রাজ্যপাল দুই সাংবিধানিক পদের এমন 'দ্বন্দ্ব' এর আগে বাংলার রাজনীতিতে খুব একটা দেখা যায়নি। নির্বাচন, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, সরকারি নিয়োগ এই সব কিছু নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বৈরথ তো লেগেই ছিল। কিন্তু এই সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে রাজ্য বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া। যার ফলে মার্চে রাজ্য বাজেট অধিবেশন নিয়েও তৈরি হয়েছে সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) রাজভবনে ( Raj Bhavan) বৈঠকে জাকলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়।
সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ১৭৪ ধারা ২ নম্বর উপধারা বলে রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ট্যুইট করে রাজ্যপাল লিখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ক্ষমতা অনুযায়ী ১৭৪ ধারা ২ নম্বর উপধারা বলে আমি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করছি।’সঙ্গে রাজ্যপালের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। ধনখড় স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের চরমে ওঠে। রাজ্যপাল টুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে পারেন না বলে দাবি করে শাসক দলের নেতারা।
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই বঙ্গ বাজেট (Budget) অধিবেশনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে রাজ্যপালের এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চলতি সপ্তাহে রাজভবনে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে ট্যুইট করেন রাজ্যপাল। সঙ্গে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। ট্যুইটে লেখা হয়, জগদীপ ধনকড় চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘বৈধ বিষয়ে তোলা প্রশ্নের দীর্ঘসময় ধরে জবাব মিলছে না, এ ধরনের পরিস্থিতি সাংবিধানিক অচলাবস্থা তৈরি করতে পারে’ । তিনি লিখেছেন , ‘বেশ কিছু উদ্বেগজনক বিষয় নিয়ে অবিলম্বে আলোচনার দরকার’।
এর আগে রাজ্য পালের বিধানসভা অধিবেশন স্থগিতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের (MK Stalin) সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে (Delhi) বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডাকারও সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার রাজ্যপাল খোদ সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকলেন। রাজ্যপালের তরফ থেকে বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়ে রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই দেখার।