বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়-র আসা নিয়ে ধুন্ধুমার বেধেছিল এমনকী উপাচার্যের সঙ্গেও বাদানুবাদ হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইটারে বাবুলের স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী টুইটেই তার কড়া জবাব দিলেন বাবুল 

বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসে প্রায় ছয় ঘন্টা আটকে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপর টুইটারে বাবুলের স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। টুইটেই তার কড়া জবাব দিলেন বাবুল।

বৃহস্পতিবার ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ঘেরাও হওয়ার পর উপাচার্যকে ডেকে একহাত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অভিযোগ করেছিলেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ইচ্ছাকৃতভাবেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের আটকাননি। আরও জানিয়েছিলেন, তিনি শুধু বিজেপি নেতা নন, তাঁর অন্য পরিচয় হল তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাই তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সময় তাঁকে গ্রহণ করার জন্য উপাচার্যের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।

সুরঞ্জন দাস বারবার বলার চেষ্টা করেন, বাবুল আসার আগাম খবর তাঁর কাছে ছিল না। এবিভিপি অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চেয়েছিল, তিনি দিয়েছিলেন এই অবধিই। কারা কারা সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত তা তাঁকে জানানো হয়নি। এরপর বাবুল আসার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে এসেছেন। কিন্তু তাঁর কথা পাত্তা দেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উত্তেজিতভাবে রীতিমতো উপাচার্যকে ধমকাতে দেখা যায়।

Scroll to load tweet…

এরপরই সিপিআইএম-এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী এটি টুইট করে বাবুলের সমালোচনা করেন। উপাচার্যের সঙ্গে বাবুলের উত্তপ্ত বাদানুবাদের একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন, বাবুলের স্পর্ধার প্রদর্শন স্পষ্ট। এটা অসভ্য। অভিযোগ করেন, যাদবপুরের ক্যাম্পাসে কীরকম আচরণ করতে হয়, উপাচার্যের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানেন না। আটকে পড়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার বদলে বাবুল আরও উস্কে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি জানান, এটা করা হয়েছে যাতে বিজেপি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালাতে পারে সেই লক্ষ্যেই। বিজেপিকে তিনি ধ্বংস এবং অবক্ষয় সাধনের দল বলে কটাক্ষ করেন।

Scroll to load tweet…

এর জবাব টুইটেই দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি পাল্টা সুজনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, এই কথা বলার জন্য সুজনের লজ্জা হওয়া উচিত। তাঁর কথায় বিবমিষার উদ্রেক হচ্ছে। এই কারণেই অর্থাৎ অন্যায় কাজকে সমর্থন করার জন্যই কমিউনিস্ট পার্টিকে মানুষ ছুড়ে ফেলেছে এবং এখন দলটি প্রায় বিলুপ্তির মুখে দাঁড়িয়ে।