সংক্ষিপ্ত
ফের বার্ষিক সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার যাদবপুরে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখেই ফের ছাত্রছাত্রী-দের বিক্ষোভের মুখে রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্যপাল সরাসরি দায়ি করলেন উপাচার্যকে। প্রশ্ন তুললেন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও।
যাদবপুরে বার্ষিক সমাবর্তন নিয়ে ধুন্ধুমার। সোমবারের পর মঙ্গলবারও ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখেই ছাত্রছাত্রী-দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই পরিস্থিতির জন্য তিনি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুললেন। প্রশ্ন তুললেন সংবাদমাধ্য়মের ভূমিকা নিয়েও।
এদিন তিনি, বিক্ষোভের মুখে পড়া সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদের এই পরিস্থিতি চালাতে দিচ্ছেন। এই বিষয়ে তাঁর বাধ্যবাধকতা আছে বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। তাঁর আরও দাবি উপাচার্য সমানে তাঁকে এই অবস্থার জন্য বিভিন্ন ছুতো দিয়ে যাচ্ছেন।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আরও বলেন, উপাচার্যেরই এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল। কিন্তু উপাচার্য তাঁকে বলেছেন তিনি অসহায়। উপাচার্য ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। বলেন তিনি হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এই নিয়ে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেন যাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার কথা ছিল, তাঁরাই আগুন লাগাচ্ছেন।
এদিন একই সঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকেও আক্রমণ করেন। বলেন এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের উচিত জনকল্যাণে মনোনিবেশ করা। শিক্ষার্থীদের যাতে বিপদে না পড়েন তার জন্য প্রচার চালানো উচিত সংবাদমাধ্যমের। তার বদলে সংবাদমাধ্য়মও ছাত্রছাত্রীদের উসকাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।