সংক্ষিপ্ত
ফের সজল ঘোষের বাড়িতে মুচিবাজার থানার পুলিশের তল্লাশি। কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করছেন বিজেপি নেতা।
ব্যক্তিগত বন্ডে আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি পেলেন না বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। শনিবার ফের সার্চ ওয়ারেন্ট-সহ তার বাড়িতে হানা দিল মুচিপাড়া থানার পুলিশ। এর আগে গত সপ্তাহের শুক্রবার, অর্থাৎ ১৩ অগাস্ট তাকে গ্রেফতার করেছিল মুচিবাজার থানা। গত সোমবার, ১৬ অগাস্ট তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তুলে ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁর পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছিল পুলিশ। সেইসঙ্গে, বিজেপি নেতার বাড়িতে তল্লাশি করারও অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ওইদিন দুটি আবেদনই খারিজ করেছিল আদালত।
সজল ঘোষ জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে মুচিবাজার থানা থেকে ফোন করে, তিনি কোথায় আছেন, জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বাড়ির সামনেই আছেন শুনে তাকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয়, এবং থানা থেকে লোক আসছে বলে জানানো হয়। এক-দেড় ঘন্টা বাদে কয়েকজন ব্যক্তি তার বাড়িতে আসেন, যাদের মধ্যে একজনমাত্র উর্দিধারী ছিলেন। গোটা বাড়ি তল্লাশি করেন তারা। বিজেপি নেতার অভিযোগ, ঠাকুর ঘর থেকে শুরু করে সমস্ত ঘরেই তারা তল্লাশি চালিয়েছে। এমনকী তাঁর বৃদ্ধ বাবার ঘরও বাদ যায়নি। প্রসঙ্গত, সজল ঘোষের বাবা, একসময়ের দাপুটে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষ।
তবে এই তল্লাশিতে বিন্দুমাত্র গুটিয়ে না গিয়ে পাল্টা হুশিয়ারির সুরে সজল ঘোষ বলেছেন, তিনি এই 'অত্যাচারের শেষ দেখে ছাড়বেন'। তিনি আগামী সোমবার, ২৪ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। বাংলার গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে সকলকে তাঁর পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতেই স্থানীয় তৃণমূল যুব নেতা অভিষেক দাসের স্ত্রী-কে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় দোকান ভাঙচুরেও নাম জড়ানো হয় সজল ঘোষের। শুক্রবার সকালে তৃণমূল অনুগামীরা এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন মুচিবাজার থানায়। এরপরই সজল ঘোষকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল পুলিশ। তিনি অস্বীকার করেছিলেন। এরপরই, তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা। পুলিশের অভিযোগ, ঘটনার দিন সশস্ত্র ছিলেন সজল ঘোষ।