সংক্ষিপ্ত

  • সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে গেলেন মুকুল রায়
  • নারদা কাণ্ডে হাজিরা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব

নারদা কাণ্ডে হাজিরা দিয়ে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে গেলেন মুকুল রায়। সিবিআই দফতর থেকে বেরনোর সময় উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেন বিজেপি নেতা। 

এ দিন বেলা একটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসে যান মুকুল রায়। প্রায় ঘণ্টা চারেক পরে বিকেলে সেখান থেকে বের হন তিনি। বেরনোর সময় মুকুল অবশ্য দাবি করেন, সিবিআই ডাকলে ফের আসবেন তিনি। 

এ দিন সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে মুকুল রায় বলেন, 'আগেও বলেছি, আবারও বলছি। আমাকে যতবার ডাকবে, ততবার এসে আমি তদন্তে  সাহায্য করব। কারণ আমি নিজে জানি যে এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। কারণ ফুটেজে আমায় কারও থেকে টাকা নিতে দেখা যায়নি। এটা আমার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা বড় ষড়যন্ত্র। যাঁরাই দুর্নীতির প্রতিবাদ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে।' তবে নারদা কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছেন, সাংবাদিকরা সেই প্রশ্ন করলেও জবাব দেননি মুকুল রায়। 

শোনা গিয়েছিল নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আইপিএস অফিসার এসএমএইম মির্জার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে মুকুল রায়কে। যদিও এ দিন সিবিআই দফতর থেকে বেরনোর সময় তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপি নেতা। কীভাবে জেরা হবে বা তদন্ত চলবে তা সিবিআই-এর অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যান তিনি। 

নারদা কাণ্ডে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার পরেই বিজেপি নেতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে শুক্রবার বাড়তি সময় চান মুকুল রায়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে শনিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরেই শনিবার হাজিরা দেন মুকুল রায়।