সংক্ষিপ্ত

  • কন্যাশ্রী প্রকল্পকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে কন্যাশ্রী প্রাপকদের পারিবারিক রোজগারের  উর্ধ্বর্সীমা উঠে যাচ্ছে।  
  • রয়েছে আরও সুখবর

কন্যাশ্রী প্রকল্পকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে কন্যাশ্রী প্রাপকদের পারিবারিক রোজগারের  উর্সীমা উঠে যাচ্ছে।  শুধু তাই নয় এবার থেকে বেসরকারি স্কুলের সমস্ত ছাত্রীরাও কন্যাশ্রী পাবে।এই ভাতা পাওয়ার জন্য জেলার বেসরকারি স্কুলকে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর জেলা প্রশাসন থেকে নামের তালিকা পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। সরকার সেই স্কুলটিকে অনুমোদন দিলেই ছাত্র ছাত্রীরা এই প্রকল্পের আওতায় চলে আসবে।

প্রসঙ্গত কন্য়াশ্রী প্রকল্পের পাঁচ বছর পূর্তিতেই মুখ্য়মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন এবার থেকে পারিবারিক আয়ের উর্ধ্বসীমা উঠে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,  এর জন্যে ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না। এরা তৈরি হয়ে ২ লক্ষ কোটি টাকা আনবে আমাদের জন্যে।

এই মুহূর্তে কন্যাশ্রী প্রকল্পে কে১ ক্যাটাগরিতে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা ১৩ বছর বয়েস হলে বছরে ১ হাজার টাকা পায়। কে ২ ক্যাটাগরিতে ১৮ বছর বয়েস হয়ে গেলে ছা্ত্রীরা এককালীন ২৫ হাজার টাকা পায়। আর কে ৩ ক্যাটাগরিতে কলেজ পড়ুয়ারা বিজ্ঞান বিভাগে ২৫০০ টাকা ও কলা বিভাগে ২০০০ টাকা পান।

কন্য়াশ্রী প্রকল্প গোটা বিশ্বেই সমাদৃত।  রাষ্ট্রসংঘ পুরস্কৃতও করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এই প্রকল্পের জন্যে।  মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতেই নিয়েছিলেন ইউএন পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড। মুখ্যমন্ত্রী বারবার এই প্রকল্পকে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প বলেছেন। এই প্রকল্পের লোগোও তাঁর নিজের করা। তৈরি হয়েছে কন্যাশ্রী মোবাইল অ্যাপ। পাঠ্যবইতেও সংযোজিত হয়েছে কন্যাশ্রীর বিশ্বজয়ের আখ্যান।