সংক্ষিপ্ত
বুধবার সন্ধে ছটা থেকে শুরু হয়েছে টাকা গোনা। অর্পিতার বেলঘরিয়ার রথতলার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট থেকে টাকা মিলেছে বলে খবর। বুধবার দুপুর থেকেই তল্লাশি চালানো শুরু হয় অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে। এই তল্লাশির পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায় যে, অর্পিতার ফ্ল্যাটে টাকার হদিশ মিলেছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনা ও রূপোর বাট, কয়েন।
টাকার পাহাড়ে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। একের পর এক তল্লাশিতে সেই পাহাড়ের উচ্চতার হদিশ মিলছে। টালিগঞ্জের পর এবার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে মিলল ২০ কোটি টাকা। দাঁড়ান এতেই মাথায় হাত দেবেন না। কারণ ইডি সূত্র বলছে মাত্র দু রাউন্ডের গণনা হয়েছে রাত অবধি। বুধবার সন্ধে ছটা থেকে শুরু হয়েছে টাকা গোনা। অর্পিতার বেলঘরিয়ার রথতলার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট থেকে টাকা মিলেছে বলে খবর। বুধবার দুপুর থেকেই তল্লাশি চালানো শুরু হয় অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে। এই তল্লাশির পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায় যে, অর্পিতার ফ্ল্যাটে টাকার হদিশ মিলেছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনা ও রূপোর বাট, কয়েন।
বুধবার সন্ধে ছটা থেকে চারটি টাকা গোনার মেশিন এনে কাজ শুরু করেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। প্রথম রাউন্ডে গোনা হয় ১৫ কোটি টাকা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও পাঁচ কোটি গুনে ফেলেন কর্মীরা। ফলে এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি গোনা হয়েছে। টাকা গুনতে রাত কাবার হয়ে যাবে বলেই মনে করছে ইডি। সন্ধ্যায় জানা গিয়েছিল, পার্থের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ন’তলার ফ্ল্যাটে মিলেছে আরও টাকার হদিস। সেই টাকা গোনার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে আসেন ব্যাঙ্ককর্মীরা।
এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে প্রচুর সোনার বাট। যার বাজারমূল্য অন্তত এক কোটি টাকা হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধার হয়েছে রৌপ্যমুদ্রাও। বেশ কিছু দলিলও পাওয়া গিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবরয টাকা গুনতে যে মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে, তা অত্যাধুনিক মেশিন। পরিভাষায় ‘কারেন্সি কাউন্টিং মেশিন’। এই যন্ত্র দিয়ে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে ১০০টি নোট পর্যন্ত গোনা সম্ভব। সাধারণত কারেন্সি চেস্টে বড় অঙ্কের টাকা গুনতে এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
বুধবার, বেলা ১২টা নাগাদ অর্পিতা ন’তলার ফ্ল্যাটের সামনে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু ফ্ল্যাটটি তালাবন্ধ অবস্থায় ছিল। চাবির খোঁজ না মেলায় ডাকা হয় এক চাবিওয়ালাকে। কিন্তু ঘণ্টাখানেক চেষ্টা করার পরও তালা ভাঙতে পারেননি তিনি। পরে ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ফেলেন তদন্তকারীরা। তার পর সোজা ঢুকে পড়েন অর্পিতার বন্ধ ফ্ল্যাটে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছয় ইডির আরও একটি দল। তাঁরা একটি প্রিন্টার সঙ্গে করে ঢুকে যান ফ্ল্যাটে। চলে তল্লাশি। বিকেল নাগাদ খবর পাওয়া যায়, ওই ফ্ল্যাটে নগদের হদিস পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ৮ বালিগঞ্জ প্লেস ইস্টেও লকার খোলার চেষ্টা করছে ইডি। বুধবার সকালে এই আবাসনে অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে ইডির আধিকারিকেরা তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। ইডি আধিকারিকদের ১২ জনের সদস্য, চারটে গাড়ি ও কেন্দ্রীয় বাহিনি নিয়ে ইডি হানা দেয় অর্পিতার ফ্ল্যাটে।