সংক্ষিপ্ত

ফের প্রতারণা খাস কলকাতায়, এবার শিকার কলকাতার সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা। অনলাইন শপিং যতটা হাতে মুঠোয় এসেছে, ততটাই একটু অসতর্ক হলেই রয়েছে ফাঁদ।  

ফের প্রতারণা খাস কলকাতায়। এবার শিকার কলকাতার সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা (Saltlake)। অনলাইন শপিং (Online Shopping) যতটা হাতে মুঠোয় এসেছে, ততটাই একটু অসতর্ক হলেই রয়েছে ফাঁদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই ফাঁদে অজান্তে পা দিচ্ছেন রাজ্যবাসী। কখনও জাল অ্যাপের মাধ্যমে, কখনও ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো কল করে গ্রাহকের থেকে টাকা হাপিস করছে প্রতারকরা। তবে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিনব আইডিয়া নিয়ে রমরমিয়ে অপরাধ চালাচ্ছে প্রতারকরা। যদিও সাইবার ক্রাইম বিভাগও সক্রিয় রয়েছে তাঁদের ভূমিকায়। তবুও তারই মাঝে গলে দিব্যি প্রতারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কলকাতা-সহ জেলার প্রতারকরা। আর এবার অনলাইন শপিং সংস্থার নামে উঠল অভিযোগ। বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানাতেই কোলাঘাট থেকে অভিযুক্ত ক্যাশিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Bidhannagar Police)।

 ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে শ্রীঘরে ক্যাশিয়ার

পুলিশ সূত্রে খবর, অনলাইন শপিং সংস্থার রিফান্ডের টাকা না আসায় প্রতারণার শিকার সল্টলেক এলাকার বাসিন্দা। গত বছর ২১ ডিসেম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন ওই সংস্থার ক্যাশিয়ার সুশান্ত অধিকারী। কোলাঘাট থেকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এদিনই তাঁকে বিধাননগর কোর্টে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের বাসিন্দা একজন অনলাইন শপিং সংস্থায় একটি জিনিস বুক করে। কিন্তু সেই গিফট আসার পর সেই সেটি রিফান্ড করে দেয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন হয়ে যাওয়ার পর সেই টাকা না রিফান্ড হওয়ায় সেই ওই সংস্থায় একটি অভিযোগ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ জানানোর পর ওই সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজার তদন্ত করে দেখেন যে তাঁর কোম্পানি টাকা রিফান্ড করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও 'কেন পায়নি।' দেখা যায়, ওই সংস্থার ক্যাশিয়ার সেই টাকা নিজের একাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয়। এরপর বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানানো হলে কোলাঘাট থেকে অভিযুক্ত ক্যাশিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন তাঁকে বিধান নগর কোর্টে তোলা হয়। পুলিশ জানতে পারে, এই ভাবে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে  প্রায় ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন, ভাইপোর হাতে খুন কাকা, বিমানবন্দর থানা এলাকায় গ্রেফতার পরিবারের ৩ সদস্য

অনলাইনে একটু অসতর্ক হলেই রয়েছে ফাঁদ

সম্প্রতি, অ্যাপের আড়ালে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারায়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অধীনস্থ আমতলার এলাকার বাসিন্দারা।  পুলিশ সূত্রে খবর, ইনটারগ্রাফইন কোম্পানির নামে একটি মোবাইল অ্যাপ মাধ্যমে জেলায় ৪ হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছে। যদিও এই ঘটনাও বহুদিন ধরে চললেও নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরই প্রকাশ্য এসেছে। তবে এখানেই শেষ নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পড়তেই ব্য়াঙ্ক জালিয়াতির শিকার হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক।  পুলিশ সূত্রে খবর, মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৯০ টাকা খুইয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থানীতির অধ্যাপক। দক্ষিণ কলকাতার কসব এলাকার ওই বাসিন্দা এই ঘটনায় কার্যতই অবাক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে কষ্ট করে উপার্জনের একটা মোটা অঙ্কের টাকা। তবে এবার নতুন পদ্ধতি ধরে টাকা জালিয়াতি করছে অপরাধীরা বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।