সংক্ষিপ্ত
এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার পরেশের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ এনেছে বিজেপি। রাজ্য়ের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর পুরো পরিবারের ২৫ জনের চাকরি হয়েছে বলে এবার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার পরেশের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ এনেছে বিজেপি। রাজ্য়ের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর পুরো পরিবারের ২৫ জনের চাকরি হয়েছে বলে এবার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, একদা বাম আমলেও মন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী। বিজেপি তো প্রকাশ্যেই প্রচার করছে, বাম থেকে তৃণমূল আমল দুই সময়েই চাকরি দুর্নীতি হয়েছে। না হলে একই পরিবারের এতজনের কীকরে চাকরি হল, প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির।
এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এই মুহূর্তে শিরোণামে শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্য়া অঙ্কিতার বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীকে। এতদিন অবধি তিনি যে বেতন পেয়েছেন, তা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।এতকাণ্ডের পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই কলেজ সার্ভিস কমিশনের তালিকায় মন্ত্রী পরেশ কন্যা অঙ্কিতার নাম উঠেছে। পরেশ অধিকারীর পুরো পরিবারের ২৫ জনের চাকরি হয়েছে বলে এবার অভিযোগ এনেছে বিজেপি।
যদিও এই ইস্যু প্রকাশ্য়ে আসতেই তৃণমূল দাবি জানিয়ে বলেছে, কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে, পরেশ অধিকারীকে আরও হেয় করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এর মধ্যে রাজনীতি ছাড়া কিছু নেই। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, বিরোধীরা কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এর মধ্যে রাজনীতি ছাড়া কিছু নেই। একদা ফরোয়ার্ড ব্লকের নেতা ছিলেন অঙ্কিতার বাবা পরেশ অধিকারী। রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। যদিও ফরোয়ার্ড ব্লকে থাকতে পরেশ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন,একথা মানতে নারাজ বামেরাও।
আরও পড়ুন, 'মমতার সরকারের ৫ বছর পূরণ হবে না, ২০২৪ সালেই বিধানসভা ভোট', তোপ শুভেন্দুর, পালটা কুণাল
তবে দল বদলে যখন ২০১৯ সালে তিনি তৃণমূলে এলেন, তখন তাঁর প্রভাব কমেনি। পরে লোকসবা ভোটে হারলেও যখন বিধানসভা ভোটে জিতলেন , তখন রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী করে দেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই অবধি সব ঠিকই যাচ্ছিল। মাঝখানে বাধ সাধে নেতা-মন্ত্রী-বিরোধী দল কেউ নন, একাই একশো , যার নাম ববিতা সরকার। ববিতার দাবি, তাঁর থেকে কম নাম্বার ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সালে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি পেয়ে যান অঙ্কিতা অধিকারী। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পর অঙ্কিতার নিয়োগ বেআইনি বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপরেই এসএসসি দুর্নীতি মামালায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও অঙ্কিতা অধিকারীকে তলব করে সিবিআই।
আরও পড়ুন, 'কাকুর কাজ শেষ করাই আমার দায়িত্ব', ঝালদায় কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো