সংক্ষিপ্ত
হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে গেল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে গেল সিবিআই। সূত্রের খবর, তিনি বাড়িতে না থাকায় প্রাথমিকভাবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীর দল। তবে রাতেই আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে নিজাম প্যালেসে যান এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে সিপিএম তথা বিজেপি। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।
গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন , বৃহস্পতিবারেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে কথা বলতে হবে। ৯৮ জনের নিয়োগ নিয়ে এই মামলা হয়। যাদের মধ্যে প্যানেলে নাম নেই ৯০ জনের। বাকি ৮ জনের নাম থাকলেও অনেকটাই পিছনের দিকে। এরপরেই আদালতে প্রশ্ন ওঠে, নিয়োগ সংক্রান্ত তালিকার ভিত্তি কী।কার সুপারিশে এই নিয়োগ হচ্ছে, জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট।
এই নিয়োগে কমিশন নাকি বোর্ডের হাত রয়েছে, তা জানতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্য়েই বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এই সুপারিশের ক্ষেত্রে কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছে। এর ভিত্তিতেই নিয়োগপত্র পাঠানোর বিষয়টি তুলে ধরে বোর্ড। যদিও কমিশন এক্ষেত্রে কোনও সদুত্তর দিচে পারেনি। এরপরেইকলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে সিবিআইকে কথা বলার নির্দেশ দেন।
এদিকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই হাইকোর্টে যান তদন্তকারীরা। সিবিআই-র একজন অফিসার অ্যাডিশনার সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। সন্ধ্যার আগেই হাইকোর্টের নির্দেশের কপি পাঠানো হয় সিবিআই দফতরে। এরপেরই রাতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার যায় সিবিআই-র টিম। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেছেন, 'রাজ্য সরকারের পুলিশ, তাঁদেরই সিট, তাঁদেরই সিআইডি। অথচ এদের দিয়ে কোনও কাজই হয় না। আসলে এখানে শস্যের মধ্যে ভূত আছে। রক্ষকই ভক্ষক। এটা বারবার প্রমাণ হচ্ছে। এতদিন ধরে গ্রুপ ডি নিয়ে চলছে।'বিজেপির দাবি এই সরকার টাকা নিয়ে পদ বিক্রি করে। সেটাই বারবার সেটাই বারাবার এই ধরনের মামলা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এটার যথার্থ তদন্ত করা দরকার। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।