সংক্ষিপ্ত

পুরভোটে আগেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে হাজার রকমের সমস্যা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পরিবহণ সমস্যা। ভোটের কাজে ব্যবহারের জন্য প্রতি বারই বাস ভাড়া করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস থেকে ওই বাসের তালিকা পৌঁছে যায় জেলাশাসকের কাছে। এবং  কমিশন মারফৎ জেলাশাসকই ওই বাসগুলির ভাড়া মিটিয়ে দেন। কিন্তু এবারের ছবিটা যেন অন্যান্যবারের চেয়ে একটু অন্যরকম। কলকাতা পুরভোটে বাস দিতে আপত্তি জানিয়েছে বাস সংগঠনগুলি। 

পুরভোটে আগেই (KMC Election 2021 ) মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে হাজার রকমের সমস্যা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পরিবহণ সমস্যা। ভোটের কাজে ব্যবহারের জন্য প্রতি বারই বাস ভাড়া করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরিবহণ দফতরের আঞ্চলিক অফিস থেকে ওই বাসের তালিকা পৌঁছে যায় জেলাশাসকের কাছে। এবং  কমিশন মারফৎ জেলাশাসকই ওই বাসগুলির ভাড়া মিটিয়ে দেন। কিন্তু এবারের ছবিটা যেন অন্যান্যবারের চেয়ে একটু অন্যরকম। কলকাতা পুরভোটে (KMC Election 2021 ) বাস দিতে আপত্তি জানিয়েছে বাস সংগঠনগুলি ( Bus Organization)। এর পিছনেও রয়েছে অন্য কারণ। বাস সংগঠনগুলি ( Bus Organization) জানিয়েছে,  ভোটের কাজে গাড়ি ভাড়া দিয়ে লাভের থেকে তাদের লোকসানই হয় বেশি। কারণটা হল অনেক বার এমনও হয়েছে বাস নিয়েও ভাড়া মেটায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West bengal State Election Commission ) । এবং এই কারণেই  বাস দিতে আপত্তি জানিয়েছে বাস সংগঠনগুলি। 

গত বুধবার কলকাতার কয়েকটি বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West bengal State Election Commission ) । কলকাতা পুরসভার ভোটে বাস  নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। পুরসভার বৈঠকে কমিশনের কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেছে বাস সংগঠনগুলি ( Bus Organization)। শুধু তাই নয় বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে ওই দাবি মানা না হলে তারা বাস দিতে আগ্রহী নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কমিশনকে। বুধবারে পুরসভার  বৈঠকে পুরোনো কিছু বিষয় তুলে ধরে বাস সংগঠনগুলি।  বাস সংগঠনগুলি ( Bus Organization) জানায় যে, বিগত ভোটগুলির অনেক টাকাই এখনও পর্যন্ত বকেয়া রয়ে গেছে। যার পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। জেলাশাসক অফিসে বার বার যোগাযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। ভোটের কাজ মিটলেই কেউ কোনও কথা শুনতে নারাজ। তাই বাস সংগঠনগুলির এবারেরে দাবি, এখন বাস নিতে হলে আগের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। তারপরেই ভোটের কাজে বাস পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন-Mamata Vs Congress: মমতার পুরোনো ষড়যন্ত্র, পিছনে আছেন মোদী - বিস্ফোরক অধীর

আরও পড়ুন-Sovan-Baisakhi: বৈশাখীর সন্তানের বাবা হলেন শোভন, অপেক্ষা এবার বিবাহ বিচ্ছেদের

আরও পড়ুন-Kolkata Airport: করোনার নয়া নির্দেশিকা কলকাতা বিমানবন্দরে, বাধ্যতামূলক হল RT-PCR টেস্ট

এখানেই শেষ নয়, পুরসভার বৈঠকে  আরও দু'টি বিষয় তারা তুলে ধরেন বাস সংগঠনগুলি ( Bus Organization)। প্রথমত, বাস নেওয়ার পর ভোট মিটে গেলেই প্রতিবার বকেয়া কিছু টাকা থেকে যায়। যা পরে আর কোনভাবেই পাওয়ৈ যায় না। তাই এবার ভোটের সময়ে বাস নিতে গেলে পুরোনো বকেয়া টাকা মিটিয়ে অগ্রিম টাকা দিয়ে তবেই নিতে হবে। দুই, বর্তমানে  ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। তাই কমিশন যে টাকা বরাদ্দ করে তা মোটেই  যথেষ্ট নয়। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে সংগঠনগুলি যে ভাড়া নির্ধারিত করবে তা যেন ঠিক মতো মেনে নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন (West bengal State Election Commission )।  এই তিনটি দাবিই বাস মালিক সংগঠনগুলি কমিশনের বৈঠকে করেছেন । তবে বাস মালিক সংগঠনগুলি  ( Bus Organization) এই সমস্ত দাবি কতটা মানবে কমিশন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। পরিবহণের আঞ্চলিক অফিস ও জেলাশাসকরা পুরো বিষয়টা ঠিক করে থাকেন। তাদের কথা মতো কাজ করে কমিশন (West bengal State Election Commission )। এইবারেও তেমনটা হতে চলেছে। তবে সবশেষে  চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।