সংক্ষিপ্ত

অভিষেক-কল্যাণ বিতর্কের পর এবার 'বিশেষ বার্তা' দিলেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিশেষ বার্তায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকসভার কোনও সাংসদ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে 'লিডার'কে না জানিয়ে কোথাও কোনও সই করবেন না। 

অভিষেক-কল্যাণ (Abhishek Banerjee and Kalyan Banerjee Controversy) বিতর্কের পর এবার 'বিশেষ বার্তা' দিলেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিশেষ বার্তায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকসভার কোনও সাংসদ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে 'লিডার'কে না জানিয়ে কোথাও কোনও সই করবেন না। যদিও এই বিশেষ বার্তা দেওয়ার সময় কল্যাণের নাম না করলেও এটা পরিষ্কার যে কল্যাণ ইস্যুতেই এই কথা জানিয়েছেন দলের এই বর্ষীয়ান সাংসদ। কারণ তিনি এখন লোকসভার মুখ্য়সচেতক পদে রয়েছেন। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে  'লিডার' কে। সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় (Sudip Banerjee) কোনও নির্দিষ্ট নাম উল্লেখও করেননি। 

'লিডার' কে ? কার কথা বললেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায় ?

লিডার যে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, নাম না করলেও সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিশেষ বার্তার পরে এটাই অনুমান রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিয়ে সমালোচনা করেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপরেই বিতর্ক থামাতে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, এনিয়ে কোনও বিবৃতি চলবে না। তারপরেই দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন চ্য়াপ্টার ক্লোজড। এরপর আরও পরিষ্কার হয়ে যায় লিডার অর্থাৎ নেত্রীর কথাই সুদীপের বিশেষ বার্তায় লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু এবার প্রশ্নটা হচ্ছে কেন এই বিশেষ বার্তা দিলেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়।

কেন এই 'বিশেষ বার্তা' দিলেন বর্ষায়ান সাংসদ  ?

সূত্রের খবর, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বা পক্ষে একজোট হয়ে কোনও চিঠি দলীয় নের্তৃত্বকে সাংসদরা দিতে পারেন। এই আশঙ্কা থেকেই ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে। আর এই ধরণের চিঠিতে সই আটকাতেই ওই বিশেষ বার্তা দিয়েছেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তাই দলীয় নের্তৃত্বের অনুমতি ছাড়া কাউকেই কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সই করতে নিষেধ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি এখন অনেক জটিল হয়ে পড়েছে। তাই কল্যাণ বাকি সাংসদদের নিয়ে জোঁট বেধে চিঠি সই করিয়ে দলকে চাপে ফেলতে পারে। এই বিশেষ বার্তা দিয়েই তাই আগাম আটকে দেওয়ার চেষ্টা করল ঘাসফুল শিবির। 

অভিষেক-কল্যাণ ইস্যুর শুরু কোথায় , ঠিক কী হয়েছিল

সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ওই সতর্কবার্তা সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে পাঠিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়। পরে জানা যায়, এই সতর্কবার্তা সকলকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, কোনওরকম চিঠি তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাঠানো যাবেনা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডায়মণ্ডহারবারের সভায় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, '২ মাসের জন্য সব বন্ধ রাখা হোক'।আক্ষরিক অর্থে তা, পুরভোটকে কেন্দ্র করেই। আর এই বক্তব্যের পর আওয়াজ তোলেন কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। যে ব্যক্তিগত মতামত বলে অভিষেকের কিছু থাকতে পারে না। তার বলা কথা অর্থাৎ দলেরই কথা হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। এরপরেই শুরু হয় যাবতীয় জল ঘোলা। তবে কল্যাণ ইস্যুতে কোন পথে দল, তা জানা শুধুই সময়ের অপেক্ষা।