সংক্ষিপ্ত
১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে (Municipal Election) অশান্তির অভিযোগে সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ (Strike) ডেকেছে বিজেপি (BJP)। বনধ ব্যর্থ করতে তৎপর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার (West bengal Government)। বনধের দিন অফিস না এলে কঠিন সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্দেশিকা জারি অর্থ দফতরের।
রবিবার হয়েছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন (WB Municipal Election 2022) । যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠেছে অশান্তির অভিযোগ। কোথাও বিরোধী প্রার্থীদে মারধর, কোথাও বিরোধী এজেন্টদের। ছাপ্পা ভোট, ইভিএম ভাঙচুর,বোমাবাজি উঠেছে সব ধরনের অভিযোগই। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির শাসক দলের দিকে। রাজ্য জুড়ে পুরভোটে লাগামহীন সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার ১২ ঘণ্টার বন্ধের (Strike) ডাক দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে বনধ। পদ্ম শিবিরের বনধ ডাকার পরই এই বনধ যে রাজ্য সরকার মানবে না তা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাফ জানিয়ে দেন সরকার আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতন সব কিছু স্বাাভাবিক রাখতে বদ্ধপরিকর।
বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থ করতে পুরো দস্তুর ময়দানে নেমেছে রাজ্য সরকার (West bengal Government)। বিজেপির বনধ ডাকার পরই নবান্নের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বন্ধের সংস্কৃতি রাজ্য সরকারের ‘নীতিবিরুদ্ধ’। তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রোজকার মতোই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, দোকান, বাজার, কারখানা সবই স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। যান চলাচলও স্বাভাবিক রাখা হবে। অন্য়ান্যবারে মত এবারও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, বন্ধের দিন প্রথমার্ধ বা দ্বিতীয়ার্ধ কিংবা গোটা দিনের জন্য ছুটি বরাদ্দ করা হবে না। বন্ধের আগের দিন যাঁরা ছুটিতে থাকবেন, সোমবার অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁদের কাজে যোগ দিতেই হবে। বন্ধের দিনকে মাঝখানে রেখে আগে বা পরের দিন ছুটি নেওয়া যাবে না। নির্দেশিকা অমান্য করে যাঁরা বন্ধের দিন অফিস যাবেন না, তাঁদের এক দিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে কেই ছুটি করলে তাকে কারণ লিখিত জমা দিতে হবে। তা না দিলে ওই কর্মীর বিরদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগো ব্যবস্থা নেওয়া হব। তবে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে অথবা আগে থেকে যাঁরা নির্দিষ্ট কারণে ছুটি নিয়ে রেখেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, ১০৮টি পুরসভা ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ শুধু বিজেপি নয়, বাম, কংগ্রেস সকলেই সর হয়েছেন। কিন্তু বিজেপির ডাকা বনধকে সমর্থন করেনি বাং-কংগ্রেস কোনও দলই। তবে রাজ্যে যে পরিস্থিতিতে ভোট হয়েছে তাতে বিজেপি বিরোধী হলেও বনধের ইস্যু সমর্থনযোগ্য বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তবে বনধ সফল করার জন্য রাস্তায় নামার কথা জানিয়েছে পদ্ম শিবিরও। ফলে সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে শহরের রাজপথে কোনও অশান্তির সৃষ্টি হয় কিনা সেটাই দেখার। তববে সব কিছু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকার আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার।