সংক্ষিপ্ত

  • ওজন কমতে সাহায্য করে
  • অনিদ্রা দূর করে
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

আখরোট এমন এক প্রকার বাদাম যার মধ্যে পুষ্টিগুণ রয়েছে ভরপুর। শরীরের হাজারও সমস্যা দূরে রাখতে চিকিৎসকরা তাই আখরোট খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, আখরোটের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা শরীরকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই কিছু নিত্য সমস্যারও সমাধান করে। এক নজরে দেখে নিন আখরোট খাওয়ার কিছু উপকারিতা। 

১) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত আখরোট খেলে ওজন কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এতে রয়েছে ওমেগা ৩, প্রোটিন এবং ফাইবার, যা দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আখরোট খান। 

২)অনিদ্রা দূর করে- আখরোটে মেলাটোনিন নামক একটি উপাদান থাকে যা অনিদ্রার সমস্যাকে দূরে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই রাতে যাদের ভাল ঘুম হয় না, তারা খাদ্যতালিকায় আখরোট রাখলে অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 

৩) ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে- আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে, যা সুস্থ ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী। ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে প্রতিদিন খান আখরোট। 

৪) ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে- চিকিৎসকরা বলেন যে, যে-কেনও ধরণের বাদামই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত যাঁরা নিয়মিত আখরোট খান তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়। 

৫)হৃদরোগের ঝঁুকি কম করে - যে-কোনও প্রকারে বাদামের মধ্যে আখরোটে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‍্যাডিকেলকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের ঝঁুকি কম করে। এছাড়াও আখরোটে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা ৩, যা খারাপ কোলেস্টরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

প্রেমিকার মানভঞ্জনের কয়েকটি সহজ উপায়

৬) শিশুর মস্তিস্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে- একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে আখরোটে থাকা ভিটামিন ই, মোলাটোনিন, ওমেগা ৩, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে আখরোট খাওয়ানো অভ্যাস করুন।