সংক্ষিপ্ত
- রোজ নিয়ম করে হাঁটুন
- হাঁটলে স্ট্রেস কমে
- সুগার, কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে
- দিনে যে কোনও সময়ে আধ ঘণ্টা হাঁটুন
হাঁটতে থাকুন। যত পারেন হাঁটতে থাকুন। হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। মেদ ঝরাতেই হোক কি স্ট্রেস কমাতে, জেনে রাখবেন সবেতেই ম্য়াজিকের মতো কাজ দেয় হাঁটা।
অনেকেই ওজন কমাতে গিয়ে ঘাম ঝরাতে জিমে যান। কিন্তু বলা হয় জিমে যাওয়ার চেয়ে ফ্রি হ্য়ান্ড এক্সারসাইজ অনেক ভাল। আর তার চেয়েও ভাল হল হাঁটাহাটি। বলে রাখা ভাল, স্ট্রেস কমাতেও হাঁটার জুড়ি মেলা ভার। কারণ, হাঁটলে আমাদের শরীরের ফিল গুড হরমোনগুলোর ক্ষরণ হয় ভাল করে। যার ফলে স্ট্রেস কমে, মন ভাল থাকে। জেনে রাখবেন, হাঁটলে অনেক রোগবিসুখ শরীরে ঘেঁষতে পারে না। হাঁটলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরল, লিপিড প্রোফাইলও ঠিকঠাক থাকে।
হাঁটলে পেটের সমস্য়া থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্য়ে ভোগেন, তাঁদের জন্য় হাঁটা হল মহৌষধি। শুধু কোষ্ঠবদ্ধতাই নয়, গ্য়াস-অম্বলের সমস্য়াও অনেক কমে হাঁটলে। রাতে ঘুম ভাল হয়।
এখন প্রশ্ন হল, কখন হাঁটবেন আপনি। কেউ বলেন, সকালে উঠে মর্নিং ওয়াক করার সুযোগ পাই না। আবার কেউ বলেন, বাড়ি থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাড়ি, হাঁটার সুযোগ কই।
বলে রাখা ভাল, হাঁটার কিন্তু কোনও সময় নেই। মর্নিং ওয়াকেই যেতে হবে, তেমন কিন্তু কোনও কথা নেই। আপনি চাইলে ইভনিং ওয়াকেও যেতে পারেন। আসলে, দিনের মধ্য়ে হাঁটার জন্য় আধঘণ্টা সময় বের করে নিতে পারলেই হল। যেকোনও সময়ে। আর যাঁরা বলেন বাড়ি থেকে অফিস যাই আর অফিস থেকে বাড়ি, তাঁদের জন্য় বলি, কিছুটা সময় আপনাকে ম্য়ানেজ করে নিতেই হবে। সেক্ষেত্রে কিছু পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। যেমন ধরুন অফিসে যাওয়ার সময়ে দুটো স্টপেজ আগে নামলেন। ওই পথটুকু হেঁটে পাড়ি দিলেন। আবার ফেরার সময়েও ওই একই উপায় দুটো স্পপেজ হেঁটে নিলেন। বলা হয়, যদি এতটুকু সময়ও না-পাওয়া যায়, তাহলে এইভাবেই দিনে আধঘণ্টা হেঁটে নেবেন। মনে রাখবেন, আপনাকে কিন্তু দৌড়তে হবে না। সামান্য় একটু জোরে হেঁটে নিলেই হবে। দেখবেন, শরীর, মন একেবারে চাঙ্গা থাকবে।