সংক্ষিপ্ত
পরিবর্তিত জীবনযাত্রা, বায়ু ও জল দূষণের কারণে চুলের নানা সমস্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে খুশকির সমস্যা অনেকেরই।
চুলের নানা সমস্যা বর্তমানে বেড়েই চলেছে। বায়ু ও জল দূষণের কারণে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। শুধু মহিলারাই নন, পুরুষরাও খুশকির সমস্যায় ভোগেন। অনেকেই খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু, তেল, সিরাম ব্যবহার করেন। কিন্তু কেমিক্যালযুক্ত এইসব পণ্য ব্যবহারের ফলে সমস্যা কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়েই খুশকি দূর করা সম্ভব। কলার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করে চুলের নানা সমস্যার স্থায়ী সমাধান পাওয়া সম্ভব।
কলার হেয়ার মাস্ক তৈরির পদ্ধতি
কলার হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে প্রথমে দুটি কলা নিয়ে চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর তাতে আধা কাপ দুধ বা টক দই মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এরপর এই মিশ্রণে ১-২ চা চামচ মধু মেশান। এবার এই হেয়ার মাস্কটি চুলে লাগান। এর আগে চুল পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন। চুলে যেন কোনো তেল বা ধুলোবালি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
এরপর কলার মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে লাগান। ৫০ মিনিট রেখে দিয়ে হালকা গরম জলে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে করলে খুশকির সমস্যা আর ফিরে আসবে না। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার চুলকানি কমায়। মধুর উপাদান মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
কলার হেয়ার মাস্কের উপকারিতা
কলার হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে চুলের নানা সমস্যা দূর হয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বিশেষ করে চুলের ক্ষতি, খুশকি কমায়। কলায় থাকা জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম চুলকে শক্তিশালী করে। কলায় থাকা প্রাকৃতিক উপাদান চুলকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে চুল শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি নরমও হয়। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কলায় প্রচুর পরিমাণে আর্দ্রতার উপাদান থাকে। মাথার ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। ফলে খুশকির সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি চুলের গোড়াও সুস্থ থাকে।
কলায় থাকা পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ চুলের শক্তি বাড়ায়। ফলে চুল পড়া কমে। কলায় থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
বিঃদ্রঃ উপরের তথ্যগুলি কেবলমাত্র প্রাথমিক তথ্য। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।