সংক্ষিপ্ত

এই তেল সাধারণত চুলের ম্যাসেজের জন্য ব্যবহৃত হয়। একে আয়ুর্বেদের দান বললে বোধহয় ভুল হবে না। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটি অ্যাসিড, রিসিনোলিক অ্যাসিড এবং লিনোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। 

 

ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ির বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। একে ক্যাস্টর অয়েল বলা হয়। এই তেল সাধারণত চুলের ম্যাসেজের জন্য ব্যবহৃত হয়। একে আয়ুর্বেদের দান বললে বোধহয় ভুল হবে না। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটি অ্যাসিড, রিসিনোলিক অ্যাসিড এবং লিনোলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই কিভাবে ক্যাস্টর অয়েল আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।

ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতা-

১) ক্যাস্টর অয়েল চুলের বৃদ্ধির জন্য

এই তেল অত্যন্ত উপকারী বলে বিবেচিত হয়। যারা চুল উঠে যাওয়া বা মাথায় টাক পড়ে যায় তাদের মাথার ত্বকে এই তেলটি লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি শিকড়ের পুষ্টি সরবরাহ করে, চুলকে শক্তিশালী করে এবং এর বৃদ্ধি উন্নত করে।

২) ত্বকের জন্য উপকারী-

চুলের মতো ক্যাস্টর অয়েলও ত্বকের জন্য সমান উপকারী। ক্যাস্টর অয়েল চর্মরোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুবই কার্যকরী। আপনি যদি এটি ব্যবহার করেন তবে আপনি কেবল দাগ, ব্রণ এবং শুষ্কতা থেকে মুক্তি পাবেন না, ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকিও হ্রাস করবেন।

৩) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে

আপনি হয়ত কোষ্ঠকাঠিন্যের কথা বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু ক্যাস্টর অয়েলের সাহায্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যা দূর করা যায় । পেটে যখন এমন অশান্তি হয়, তখন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শে এই তেল পান করতে পারেন।

৪) পিরিয়ডের জন্য কার্যকর

ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে নারীরাও পিরিয়ডের ব্যথা এড়াতে পারেন। আসলে, ক্যাস্টর বীজে উপস্থিত রিসিনোলিক অ্যাসিড মাসিকের সময় উপশম দিতে কাজ করে। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই ব্যবহার করুন।