সংক্ষিপ্ত

এটি ত্বককে ডিটক্সিফাই করে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসা করে। তুলসী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বিষয়ে উপকারি।

তুলসীর ঔষধি গুণের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কাশি, সর্দি এবং জ্বরের মতো সমস্যা সারাতে এটি প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে এমন অনেক গুণ পাওয়া যায়, যা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণ দূর করার পাশাপাশি অনেক রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। আপনি এটি ত্বক সম্পর্কিত সমস্যার চিকিত্সার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য তুলসীর অনেক উপকারিতা রয়েছে। ত্বকের যত্নে তুলসী ব্যবহার করতে পারেন নানা ভাবে। এটি ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে । এটি ত্বককে ডিটক্সিফাই করে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের সংক্রমণের চিকিৎসা করে। তুলসীর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বিষয়ে উপকারি।

ত্বকের জন্য তুলসীর উপকারিতা

তুলসি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ যা ব্রণ, ত্বকের বার্ধক্য, পিগমেন্টেশন, ত্বকের কন্ডিশনার ইত্যাদির চিকিৎসায় সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি তুলসীকে ফেস প্যাক, ফেস স্টিম, ক্লিনজার, চা ইত্যাদি আকারে ব্যবহার করতে পারেন।

কিভাবে তুলসী থেকে টোনার তৈরি করবেন

উপাদান

১. তুলসী পাতা

২. গোলাপ জল

৩. গ্লিসারিন

কিভাবে টোনার করা যায়

তুলসী টোনার তৈরি করতে একটি পাত্রে এক গ্লাস জল ফুটিয়ে নিন। এই জল ফুটতে শুরু করলে এতে ধুয়ে রাখা তুলসী পাতা দিন। এবার মৃদু আঁচে ঢেকে রাখুন। ১০ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে ছাকনি দিয়ে জল ছেঁকে নিন। নামিয়ে ঠান্ডা হতে রাখুন। তারপর এই জলটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে তাতে অর্ধেক গোলাপ জল এবং এক চা চামচ গ্লিসারিন যোগ করুন। আপনার ত্বকের টোনার প্রস্তুত।

এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা এখানে

গ্রীষ্মকালে আপনি সবসময় আপনার ভ্যানিটি ব্যাগে এটি বহন করতে পারেন। যখনই আপনি আপনার মুখ ধোবেন, আপনার মুখ মোছার পরে এটি আপনার মুখে স্প্রে করুন। তুলসির সাহায্যে মুখে তুলসী টোনারও লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে মুখে লোশন ইত্যাদি লাগাতে পারেন।

তুলসী টোনারের অন্যান্য উপকারিতা

যদি আপনার ত্বক আলগা হয়ে যায় এবং আপনার মুখে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে, তবে আপনার প্রতিদিন এই তুলসী টোনার ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বকের ছিদ্র শক্ত করবে এবং ত্বককে রাখবে তরুণ।

ত্বককে আর্দ্র রাখতে প্রতিদিন ত্বকে তুলসী টোনার ব্যবহার করা উচিত। এতে মুখ রোদে আর্দ্র থাকবে এবং ত্বক হাইড্রেটেড দেখাবে।