সংক্ষিপ্ত
শুধু ঠোঁটে বরফ মালিশ করলেই ফাটা ঠোঁট সেরে যায় না। বরং এর আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। তো চলুন জেনে নিই ঠোঁটে বরফের টুকরো লাগানোর উপকারিতা ও পদ্ধতি সম্পর্কে।
ঠোঁট ফাটা একটা সাধারণ সমস্যা হতে পারে, তবে সেগুলি অবশ্যই বেশ মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কখনও কখনও এটি ঠোঁটে ব্যথা তৈরি করে, কখনও ফুলে যায় আবার কখনও এটি মুখের সৌন্দর্য বেশ কমিয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টির অভাবে শরীরে ভিটামিন বি-এর অভাবে ঠোঁট ফাটতে পারে। এছাড়াও, আপনার শরীরে জিঙ্ক এবং আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হিসেবেও ঠোঁট ফাটাকে দেখা হয়। এমন অবস্থায় শুধু বাইরে থেকে ক্রিম লাগিয়ে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা নিরাময় হয় না।
কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে বরফ খুবই কার্যকরী সমাধান হিসেবে দেখা দিতে পারে। শুধু ঠোঁটে বরফ মালিশ করলেই ফাটা ঠোঁট সেরে যায় না। বরং এর আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। তো চলুন জেনে নিই ঠোঁটে বরফের টুকরো লাগানোর উপকারিতা ও পদ্ধতি সম্পর্কে।
ঠোঁট নরম ও গোলাপি করে
ঠোঁটে বরফ লাগালে ঠোঁটের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এছাড়াও, ঠোঁট থেকে মৃত ত্বকের কোষগুলি সরানো যায়। যার কারণে ঠোঁটের গোলাপি ভাব বাড়তে থাকে এবং ধীরে ধীরে ঠোঁটও নরম হতে থাকে।
ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করে
যদি আপনার ঠোঁটের কালো দাগ বেড়ে যায় তাহলে তা দূর করতে আইস কিউবের সাহায্যও নিতে পারেন। জেনে রাখুন যে ঠোঁটে বরফ লাগালে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট হয় এবং ঠোঁটের কোমলতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, পিগমেন্টেশন দূর করতেও বরফ অনেক সাহায্য করে।
রোদ থেকে রক্ষা করে
বরফ রোদ থেকে ঠোঁটের ত্বককে রক্ষা করতেও সহায়ক। ঠোঁটে বরফ লাগালে রোদের কারণে ঠোঁটে জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও র্যাশের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ঠোঁট হাইড্রেটেড রাখে
ঠোঁটে বরফ লাগালে ঠোঁট হাইড্রেটেড থাকে এবং আর্দ্রতা বজায় থাকে। যার কারণে ঠোঁটের শুষ্কতা চলে যায় এবং ঠোঁট ফাটে না। শুধু তাই নয়, ঠোঁটের ফোলাভাব কমাতেও বরফ অনেক সাহায্য করে।
ঠোঁটের ফোলা কমায়
ফাটা ঠোঁটের কারণে মাঝে মাঝে ঠোঁট ফুলে যায়। এক্ষেত্রে ঠোঁটে বরফ লাগালে ঠোঁটের ফোলাভাব কমে যায়। এর পাশাপাশি বরফ ফোলা ভাব দূর করতেও সহায়ক।
যেভাবে বরফ লাগাবেন
বরফ সরাসরি ঠোঁটে লাগানো উচিত নয়। এক্ষেত্রে বরফ লাগাতে প্রথমে একটি সুতির কাপড়ে এক বা দুটি বরফের টুকরো মুড়ে নিন। তারপর ধীরে ধীরে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন এবং তিন থেকে পাঁচ মিনিট পর শুকনো ন্যাপকিন দিয়ে ঠোঁট মুছুন।