সংক্ষিপ্ত

ঠোঁট সাজানো হয় মানানসই রং দিয়ে। কিন্তু প্রতিদিন লিপস্টিক পরার চেয়ে ক্ষতিকর কিছু নেই, তা জানেন? লিপস্টিক আপনার মুখে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? জেনে নিন-

অফিস হোক বা যেকোনো অনুষ্ঠান, একটু লিপস্টিক না লাগালে সাজটা যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নেওয়া হয় লিপস্টিকের রঙ। কখনো ন্যুড আবার কখনো ডার্ক। ঠোঁট সাজানো হয় মানানসই রং দিয়ে। কিন্তু প্রতিদিন লিপস্টিক পরার চেয়ে ক্ষতিকর কিছু নেই, তা জানেন? লিপস্টিক আপনার মুখে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? জেনে নিন-

ত্বকের ক্ষতি করে

লিপস্টিকে বিসমাথ অক্সিক্লোরাইড থাকে যা একটি কার্সিনোজেন। এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই উপাদান ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই লিপস্টিক একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়।

এলার্জি হতে পারে

লিপস্টিক তৈরি করার সময়, নামী সংস্থাগুলি খুব ভালভাবে এর গুণমান পরীক্ষা করে। কিন্তু কিছু সাধারণ ব্র্যান্ডের লিপস্টিক আছে যেগুলোর মান খুব একটা পরীক্ষা করা হয় না। যার কারণে এই ধরনের লিপস্টিক ব্যবহারে অ্যালার্জি হয়।

ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন হয়

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে লিপস্টিকের ব্যবহার আমাদের ঠোঁটের আসল রঙকে প্রভাবিত করতে পারে। ঠোঁটের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক সময় ঠোঁট কালো হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।

সংক্রমণের কারণ

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে লিপস্টিকে উপস্থিত ভারী ধাতু অনেক ধরনের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

শুষ্কতা সৃষ্টি করে

প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাবে। ঠোঁটের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন লিপস্টিক না লাগিয়ে ময়েশ্চারাইজিং লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন।

চোখের সমস্যা

লিপস্টিকে প্রিজারভেটিভ থাকে। যার কারণে হাঁচি, বুকে শ্বাসকষ্ট, চোখে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

অনেক লিপস্টিক ত্বকের ক্যান্সারের কারণও হয়ে উঠতে পারে।

তাই মনে রাখবেন আপনার লিপস্টিক লাগানোর অভ্যাস পরিবর্তন করুন এবং যখন আর প্রয়োজন হবে না তখন তা মুছে ফেলুন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।