সংক্ষিপ্ত

পার্লারে বাড়তি টাকা খরচ হয়ে গেলে পুজোর মরশুমে পকেটে পড়তে পারে টান। সেই আশঙ্কা এড়াতে পার্লারের খরচ বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিয়ে ফেলুন বাড়িতেই। 

দুর্গাপুজো আসছে বলে রূপচর্চায় বাড়তি সময় তো দিতেই হবে। তবে, বাড়তি টাকা খরচ হয়ে গেলে পুজোর মরশুমে পকেটে পড়তে পারে টান। সেই আশঙ্কা এড়াতে পার্লারের খরচ বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিয়ে ফেলুন বাড়িতেই। ঘরেই করতে পারবেন হেয়ার স্মুদনিং। 

শুরুতেই চুলে ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। সবসময় রাসায়নিক বর্জিত মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। পরিমাণ মতো শ্যাম্পু নিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আঙুল দিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এর ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল ভালো হবে এবং চুল মজবুত হবে। পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগান। একটি তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন অন্তত ১০ মিনিট। তারপর ভালো করে চুল মুছে ব্লো ড্রাই করে নিন।

স্মুদনিং করার জন্য চুলে শ্যাম্পু করে শুকিয়ে নেওয়ার পরেই লাগাতে হবে স্মুদনিং ক্রিম। বাড়িতে যে কোনও স্মুদনিং ক্রিম কিনে রাখতে পারেন, সবসময় ভালো মানের ক্রিম ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। একেকটি ভাগে চুলকে ভাগ করে নিন। সেই ভাগগুলি ছোট ছোট করে ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখুন। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো স্মুদনিং ক্রিম নিয়ে ক্লিপগুলি খুলে খুলে ভাগ করা চুলে লাগান। এরপর অন্তত আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এই আধ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যেক ১০ মিনিটে একবার করে পুরো চুলটি আঁচড়ে নেবেন। আধ ঘণ্টা হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

চুল ধোওয়ার পরে আবার ব্লো ড্রাই করে শুকনো করে নিন। তারপর একটি রিপেয়ারিং হেয়ার মাস্ক লাগান। রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলে পুষ্টি ফিরিয়ে আনার জন্য হেয়ার মাস্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও বাজারচলতি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। চুলে এই মাস্ক লাগানোর পর অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর আরও একবার চুল ধুয়ে নিন। এরপর শুকনো করে চুল মুছে নিন। তারপর আবার ব্লো ড্রাই করুন। সব শেষে, একটি স্ট্রেট আয়রন ব্যবহার করে চুল স্ট্রেট করে নিন। এই উপায়েই হেয়ার স্মুদনিং ট্রিটমেন্ট ঘরেই করে ফেলতে পারবেন। 

তবে, অবশ্যই মনে রাখবেন, এই ট্রিটমেন্ট করানোর ৭২ ঘণ্টা পর পর্যন্ত চুলে কোনও শ্যাম্পু বা কোনও প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। ৭২ ঘণ্টা হয়ে গেলে শ্যাম্পু করুন। চুলে যেসমস্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন, সেগুলির মান যেন অবশ্যই ভালো হয়।