সংক্ষিপ্ত

এই সময় ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, ঠান্ডা বৃদ্ধির সঙ্গে এই সমস্যাটি দ্রুত বাড়তে পারে, যা এড়াতে আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে কিছু পরিবর্তন করার চেষ্টা করা উচিত

 

শীতকালে আমরা অন্যান্য ঋতুর তুলনায় কম জল পান করি। অন্যদিকে, শরীরে এই সময় জলের চাহিদা বেশি থাকে। এমন অবস্থায় শরীরে জলশূন্যতার সমস্যা শুরু হয়। এর প্রথম প্রভাব ত্বকে দেখা যায়। এই সময় ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, ঠান্ডা বৃদ্ধির সঙ্গে এই সমস্যাটি দ্রুত বাড়তে পারে, যা এড়াতে আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে কিছু পরিবর্তন করার চেষ্টা করা উচিত

১) গরম জল দিয়ে আপনার মুখ ধোবেন না

শীতকালে আমরা প্রায়ই গরম জল দিয়ে মুখ ধুই যা শুষ্ক ত্বকের জন্য ভুল হতে পারে। আসলে, গরম জল দিয়ে মুখ ধোয়া ত্বকের ছিদ্র থেকে আর্দ্রতা ছিনিয়ে নেয় এবং এটি শরীরের ভিতরে শুষ্ক করে তোলে। তাই শীতে স্বাভাবিক জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

২) রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে খাঁটি ঘি লাগান-

ঘিতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বকের ভেতর থেকে নিরাময়ের পাশাপাশি মুখকে দীর্ঘক্ষণ ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি চুলকানি এবং জ্বালাপোড়ার মতো শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। তাই, শুষ্ক ত্বক হলে ঘুমানোর আগে মুখে ঘি লাগান।

৩) ত্বকে নারকেল তেল লাগান-

আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে নারকেল তেল খুবই কার্যকরী। আসলে, নারকেল তেল একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি হওয়ার পাশাপাশি ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল যা ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমায়।

৪) অ্যালোভেরা স্ক্রাব ব্যবহার করুন-

অ্যালোভেরা স্ক্রাব শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রথমে মুখের উপর জমে থাকা মৃত কোষগুলিকে সরিয়ে দেয় এবং তারপর ত্বকের ছিদ্রগুলিকে ভিতর থেকে শ্বাস নিতে সাহায্য করে। তাহলে এতে থাকা আর্দ্রতা বন্ধ করে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।