সংক্ষিপ্ত
ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি, ঘরে তৈরি চোখের মাস্কগুলি অতিরিক্ত সুবিধা দেয়। এটি চোখের চারপাশে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা ঘুমের অভাবে বা স্ক্রিনের একটানা এক্সপোজারের কারণে ফোলাভাব অনুভব করছেন তাদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
আমাদের শরীরের সবথেকে সুন্দর অংশ চোখ। বলা হয় চোখ যেন মনের জানলা। মনের অনুভূতি চোখের মাধ্যমে ফুটে ওঠে। এর নান্দনিক আবেদন ছাড়াও, চোখ আমাদের মানসিক সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এর বাইরে, হৃদরোগ থেকে সামগ্রিক ক্লান্তি পর্যন্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যেতে পারে। চোখের ক্লান্তি থেকে শারীরিক অবস্থা বোঝা যায়।
চোখের ক্লান্তির কারণ:
এই যুগে ল্যাপটপের একটানা ব্যবহার এবং স্ক্রিন টাইম দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এর ফলে আমাদের চোখের ওপর প্রচন্ড চাপ পড়ে। এর ফলেই ক্লান্তি এবং চাপ সৃষ্টি হয়। চোখকে বেশ ক্লান্ত লাগে। অপর্যাপ্ত ঘুম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, কারণ অপর্যাপ্ত বিশ্রাম শুধু শরীরের শক্তির মাত্রাকেই প্রভাবিত করে না, সরাসরি চোখকেও প্রভাবিত করে, যা ক্লান্তি সৃষ্টি করে। ম্লান আলোর এক্সপোজার চোখের ক্লান্তি বাড়ায়। এই বিষয়গুলির জন্য চোখের চারপাশে কালি পড়ে, চোখ ক্লান্ত দেখায়।
চোখের মাস্ক কিভাবে ব্যবহার করবেন:
আই মাস্ক বানাতে পারেন বাড়িতেই। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চোখের নিচে ঠান্ডা শসার রসে ভিজিয়ে একটি তুলোর প্যাড রাখুন। এর পরে, প্যাডগুলি সরান এবং ঠান্ডা জলে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি চোখকে সতেজ করবে এবং চোখের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
চোখের মাস্কের উপকারিতা:
ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি, ঘরে তৈরি চোখের মাস্কগুলি অতিরিক্ত সুবিধা দেয়। এটি চোখের চারপাশে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা ঘুমের অভাবে বা স্ক্রিনের একটানা এক্সপোজারের কারণে ফোলাভাব অনুভব করছেন তাদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। এগুলি ছাড়া, ডার্ক সার্কেল, ক্লান্তি, সূর্যের রোদ, ত্বকের বিবর্ণতার প্রভাব মোকাবিলায় উপকারী হতে পারে এই মাস্ক। জলের উপাদান সমৃদ্ধ শসা হাইড্রেশন নিশ্চিত করে, চোখের নীচে সূক্ষ্ম ত্বকে শুষ্কতা এবং চুলকানি প্রতিরোধ করে।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।