সংক্ষিপ্ত

আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন ঘরোয়া প্রতিকার, যেগুলো অবলম্বন করে আপনি এই শীতের শুরুর মরসুমে খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, আসুন জেনে নিন।

 

শীতের মরসুম শুরু হতে চলেছে, এর সঙ্গে চুলে খুশকির সমস্যাও শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে শুধু চুলের ঔজ্জ্বল্যই হারাবে না, চুল পড়াও বাড়বে। যদিও এটি এড়াতে আমরা প্রায়শই বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আসি, কিন্তু সেগুলো শুধু ক্ষতিই করে। খুশকির কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার শুরু করলেও চুলের প্রাথমিক যত্নের দিকে মনোযোগ দিই না। তাহলে কি করতে হবে? তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন ঘরোয়া প্রতিকার, যেগুলো অবলম্বন করে আপনি এই শীতের শুরুর মরসুমে খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন, আসুন জেনে নিন।

নারকেল তেল

নারকেল তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য খুশকি সৃষ্টিকারী ছত্রাক প্রতিরোধে সহায়ক। এছাড়া এটি চুলে আর্দ্রতা জোগায়, যার কারণে চুল শুষ্ক থাকে না। নারকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন ই এবং কে, যা চুলকে মজবুত করার পাশাপাশি চুল পড়া রোধ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে প্রায় দুই থেকে তিনবার নারকেল তেল লাগাতে হবে, যাতে খুশকি চলে যায় এবং চুল মজবুত হয়।

লেবুর রস

চুল থেকে খুশকি দূর করতেও লেবুর রস একটি কার্যকর চিকিৎসা। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি অনেকাংশে খুশকি দূর করে। নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে লাগালে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়। এটি চুলকে হাইড্রেটেড রাখে এবং খুশকি প্রতিরোধ করে।

অ্যালোভেরা

এই বৈশিষ্ট্যগুলি খুশকির বিকাশকে বাধা দেয়। অ্যালোভেরায় উপস্থিত এনজাইম ত্বকের মৃত কোষগুলিকে পরিষ্কার করে যা খুশকির কারণ হয়। এটি চুল এবং মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রেখে খুশকি প্রতিরোধ করে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে চুল ঝলমল করবে এবং চুল সুস্থ থাকবে। শুধু তাই নয়, চুলে অ্যালোভেরার ব্যবহার আপনাকে সতেজ রাখবে এবং নানাভাবে স্বস্তিও দেবে।