সংক্ষিপ্ত

নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা সরকারের
২০১৯-২০২০  শিক্ষাবর্ষে বেশিরভাগ বেসরকারি কলেজের অর্ধেক সিট শূন্য
বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষার মান খারাপ এবং ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে চাকরির অভাব নিয়ে অসন্তোষ

এই মাসের গোড়ায় নতুন নির্দেশিকা মারফত অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকাল এডুকেশন জানিয়ে দিয়েছে যে নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণ সংক্রান্ত কোনো আবেদনপত্র এখন থেকে আগামী দুই বছর গ্রহণ করা হবে না।  অর্থাৎ ২০২২ অবধি নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির আবেদন  গৃহীত হবে না।  শূন্য সিট পড়ে থাকে প্রতিবার বিভিন্ন কোর্সে, বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, তাই  যতদিন না নতুন করে ভবিষ্যতের জন্য চাহিদা তৈরি হচ্ছে  ততদিন কাউন্সিল কোনো ডিপ্লোমা, স্নাতক স্তর, স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত নতুন  কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের আবেদন পত্র মঞ্জুর করা হবে না।  এই সিদ্ধান্ত আগামী দু বছর কার্যকরী থাকবে, তারপর পুনর্বিবেচনা করে দেখা হবে। 

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যবেক্ষণ করার পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কারিগরি ও প্রযুক্তি বিভাগে প্রায় ৫০ শতাংশ সিট  ফাঁকা আছে এই বছরে। এআইসিটিই প্রতিবেদন অনুসারে এই বছর ফাঁকা সিট সংখ্যার সঙ্গে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা হিসেব করলে তা ৪৯.৮ শতাংশে এসে দাঁড়াচ্ছে। এর কারণ হল ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টের খারাপ অবস্থা। এআইসিটিই তথ্য অনুসারে মাত্র ৬ লাখ স্নাতক ছাত্র চাকরি পেয়েছে ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট থেকে।

নতুন নতুন কলেজ মানেই অনেকখানি বিনিয়োগ, প্রাথমিক স্তরে নতুন নতুন কাঠামো তৈরি করা, বাড়ি, ল্যাবরেটরি তৈরিতে খরচ অনেক তাই নতুন কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা। দুই বছর অন্তর এই সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করে দেখা হবে নতুন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন আছে কি না। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ অবধি ৫১৮টি কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। সমগ্র ভারতবর্ষের নিরিখে তামিলনাড়ুতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সব থেকে বেশি শূন্য সিট পড়ে রয়েছে, তারপরে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র। বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর এই করুণ দশার অনেকগুলো কারণ আছে। প্রথমত, এই কলেজগুলোয় শিক্ষার মান নিয়ে অসন্তোষ আছে, দ্বিতীয়ত, এই সব কলেজ উৎকর্ষতায় পিছিয়ে থাকে কারণ ভালো শিক্ষকরা সরকারি কলেজগুলোয় চলে যান ফলত শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়ে যায়,   তৃতীয়ত, প্রচুর টাকা খরচ করে বেসরকারি কলেজে পড়ে যদি ভালো চাকরি না পাওয়া যায়, প্লেসমেন্ট ঠিকঠাক না হয় তাহলে ছাত্রদের কাছে তা খুবই হতাশাজনক ।এআইসিটিই যাচাই করে দেখেছে, প্রবেশিকা পরীক্ষায় শূন্য পাওয়া ছাত্রদের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোয় বিনা দ্বিধায় ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। এবং তারপরেও অর্ধেক সিট ফাঁকা থাকছে এইসব কলেজে।