সংক্ষিপ্ত
- আপাতত দিনপাঁচেকের জন্য় শুরু হচ্ছে লকডাউন
- মনে করা হচ্ছে, প্রয়োজনে আরও প্রলম্বিত হতে পারে
- এই পরিস্থিতিতে যাঁরা ঘরে থাকতেই পারেন না তাঁরা হতাশ
- তাই একবার জেনে নিন, ঘরে থেকে কীভাবে কাটাবেন এই ক-টা দিন
লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য়ে। প্রথম দফায় তা দিনপাঁচেকের জন্য়। তবে পরের দফায় তা আরও প্রলম্বিত হতে পারে। এমতাবস্থায়, যাঁদের বাড়িতে একেবারেই মন বসে না, তাঁরা দৃশ্য়তই হতাশ। এই কদিন কীভাবে যে বাড়িতে কার্যত বন্দিদশায় দিন কাটবে, তা ভেবেই উঠতে পারছেন না তাঁরা।
প্রথমেই বলি, মন থেকে যদি একবার মেনে নেন এই লকডাউনকে, এর প্রয়োজনীয়তাকে, তাহলেই ভেতর থেকে অনেকটা হাল্কা হতে পারবেন। আর তখনই বুঝে উঠতে পারবেন, এই দিনগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়।
এই 'কাজে লাগানো' মানে কিন্তু নিরন্তর কাজ করে যাওয়া নয়। বরং যে কাজ আপনি বহুদিন করে উঠতে পারছিলেন না, সেই কাজই সেরে নেওয়া। যেমন ধরুন দীর্ঘদিন ধরে ধুলো খেতে থাকা বইয়ের তাকটাকে একটু পরিষ্কার করে নেওয়া। তারপর এক-এক করে বইগুলো উল্টেপাল্টে দেখা। কোন বই কত বছর আগে কিনেছিলেন। বইমেলা থেকে কিনেছিলেন নাকি কলেজস্ট্রিট থেকে কিনেছিলেন। কোন বই কবে কে আপনাকে উপহার দিয়েছিলেন।
সব দেখতে থাকুন। একে একে দেখতে থাকুন। ডাউন মেমোরি লেন দিয়ে যাতায়াত করুন। বেশ লাগবে কিন্তু। এরপর চাইলে এক-এক করে নামিয়ে ফেলুন বইগুলোকে। একটা-একটা করে পড়তে থাকুন। সারাবছর তো আর সময় পাওয়া যায় না। পারলে দু-একটা পুরনো পুজোবার্ষিকীও বের করে পড়তে শুরু করে দিন। দেখবেন, কোন ফাঁকে যে দিন কেটে যাবে আপনি টেরই পাবেন না। নিজে ধরুন একটা নতুন গল্প বা উপন্য়াস। আর কাছের মানুষকেও পড়তে দিন আরেকটা কিছু। দেখুন, কার আগে শেষ হয়। ব্য়াপারটা জমে যাবে কিন্তু।
চাইলে পুরনো ক্য়ারামবোর্ডটাকে বের করে আনুন। ঘুঁটি খুঁজে বার করে বাড়ির সবাই মিলে খেলতে বসে যান। চাইলে দাবার বোর্ড নিয়ে আপনার ছেলের সঙ্গে বসে যান। দেখুন, কে আগে কিস্তিমাৎ করে। আর লুডোকে তো বাদ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। যতবার ইচ্ছে সাপের মুখে পড়ুন আর মই দিয়ে উঠে সাঁ করে উঠে যান।
যদি বাড়িতে ডিভিডি প্লেয়ার থাকে, তাহলে যে সিডি বা ডিভিডিগুলো দেখা হয় না বা শোনা হয় না সময়ের কারণে, সেগুলো দেখতে শুরু করুন। চাইলে ইউটিউবে ভানু-জহরও দেখতে পারেন। মন্দ তো লাগবেই না। বরং লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মনে হবে-- আর ক-টা দিন এমন থাকলেই ভালো হত!