সংক্ষিপ্ত
শ্রমিক দিবসের দিনটি শুধু শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়, এই দিনে শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষেও আওয়াজ তোলা হয়। যাতে তারা সমান অধিকার পায়। তো চলুন জেনে নিই শ্রমিক দিবসের ইতিহাস এবং এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য কি।
দেশে ও বিশ্বে প্রতি বছর ১লা মে শ্রমিক দিবস পালিত হয়। শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর লক্ষ্যে প্রতি বছর ১লা মে দিবসটি তাদের উদ্দেশে উৎসর্গ করা হয়। যা শ্রমিক দিবস, শ্রমিক দিবস, শ্রমিক দিবস, মে দিবস নামে পরিচিত। শ্রমিক দিবসের দিনটি শুধু শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়, এই দিনে শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষেও আওয়াজ তোলা হয়। যাতে তারা সমান অধিকার পায়। তো চলুন জেনে নিই শ্রমিক দিবসের ইতিহাস এবং এই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য কি।
সর্বোপরি ১ মে শ্রমিক দিবস পালিত হয় কেন?
১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকায় আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে আমেরিকার শ্রমিকরা রাজপথে নেমে আসে এবং তারা তাদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলতে থাকে। শ্রমিকদের দিনে ১৫-১৫ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করায় এ ধরনের আন্দোলনের কারণ ছিল কাজের সময়। আন্দোলনের মধ্যেই পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায় এবং বহু শ্রমিক প্রাণ হারায়। আর আহত হয়েছেন শতাধিক শ্রমিক। এই আন্দোলনের তিন বছর পর, ১৮৮৯ সালে আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলন মিলিত হয়। যেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে মাত্র ৮ ঘন্টা কাজ করা হবে।
এই সম্মেলনেই ১লা মে শ্রমিক দিবস পালনের প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবছর ১ মে ছুটি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। আমেরিকায় শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কাজ করার নিয়মের পর অনেক দেশেই এই নিয়ম চালু হয়েছে।
ভারতে কবে থেকে শুরু হয়
যদিও আমেরিকায় ১৮৮৯ সালের ১ মে শ্রমিক দিবস পালনের প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু ভারতে এসেছে প্রায় ৩৪ বছর পর। ১৯২৩ সালের ১ মে চেন্নাই থেকে ভারতে শ্রমিক দিবস শুরু হয়। হিন্দুস্তানের লেবার কিসান পার্টির সভাপতিত্বে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সভা অনেক সংগঠন ও সামাজিক দলের সমর্থন পেয়েছে। যারা শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এর নেতৃত্বে ছিল বামেরা।
আরও পড়ুন- কেন পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, এক ঝলকে দেখে নিন নেপথ্যের কাহিনি
শ্রমিক দিবসের উদ্দেশ্য কি
প্রতি বছর ১লা মে শ্রমিক দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল শ্রমিক ও শ্রমিকদের অর্জনকে সম্মান জানানো এবং অবদানকে স্মরণ করা। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের অধিকার ও অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলা এবং শোষণ বন্ধ করা। এই দিনে, অনেক সংস্থায় কর্মচারীদের একটি দিনের ছুটি দেওয়া হয়।