সংক্ষিপ্ত
নিম ফুল একটি আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা শরীরের আভ্যন্তরীণ সিস্টেমকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে। এই ফুলগুলি সাদা-হলুদ বর্ণের হয় এবং খাদ্যবস্তু হিসাবে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।
জ্যোতিষ বলে- বাড়ির উত্তর দিকে নিমগাছ মানেই বাড়ির সদস্যদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা সঞ্চার। কিন্তু এ তো সনাতন ভাবনা। বি়জ্ঞানসম্মত ভাবেই এই গাছের বহুবিধ ব্যবহার ২০০০ বছর ধরে মানুষের সভ্যতাকে রক্ষা করেছে। সালোকসংশ্লেষের ফলে বাড়তি অক্সিজেন সরবরাহ করা তো আছেই, মানুষের নিত্য অসুখ-বিসুখে সহায় এই নিম।
নিমপাতা নামটা শুনলেই গায়ে জ্বর আসে অনেকেরই। কিন্তু নিমপাতার উপকারিতা জানলে হয়তো চমকে যাবেন অনেকেই। নিমের ডাল, পাতা সবই কাজে লাগে। নিমের কাঠ খুবই শক্ত হয়, তাই নিম গাছে উইপোকা বাসা বাঁধে না। স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কার্যকরী এই নিমপাতা, এর পাশাপাশি সৌন্দর্যেও অনেক গুণ রয়েছে নিমের।
এই একটি ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহুবর্ষজীবী ও চিরহরিৎ বৃক্ষ। নিমের পাতা থেকে বর্তমানে প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকরী। নিমের কাঠ খুবই শক্ত। এই কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। এই কারণে নিম কাঠের আসবাবপত্রও বর্তমানে তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া প্রাচীনকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বানানোর জন্য কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।
নিম গাছের নিজেই একটি ওষুধ। মানুষ নিম গাছের পাতা ব্যবহার করে ত্বক থেকে শুরু করে সুগারের রোগীরা কিন্তু জানেন নিম ফুলের মধ্যে কি উপকারিতা লুকিয়ে আছে। নিম ফুল একটি আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা শরীরের আভ্যন্তরীণ সিস্টেমকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে। এই ফুলগুলি সাদা-হলুদ বর্ণের হয় এবং খাদ্যবস্তু হিসাবে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এটি অন্য ঋতুতে শুকনো এবং গুঁড়ো আকারে পাওয়া যায়, তবে নিম ফুল তাজা খাওয়াই ভাল। নিম ফুলের গুণ আপনাকে চমকে দেবে।
হজম শক্তিকে শক্তিশালী করতে নিম ফুল খান। আপনি সিরাপ আকারে একটি পানীয় প্রস্তুত করে এই ফুল পান করতে পারেন।
নিম ফুল দিয়ে লিভার সুস্থ রাখা যায়। নিয়মিত খালি পেটে নিম ফুল চিবিয়ে খান। এটা শরীরে দারুণ কাজ দেয়।
ত্বকে উজ্জ্বলতা পেতে নিম ফুল থেকে তৈরি ফেসপ্যাক লাগাতে পারেন। এটি ত্বকের দাগ দূর করার পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাও দূর করতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিম ফুল খুবই উপকারী। এটিতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনাকে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।