সংক্ষিপ্ত
শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবারে ভক্তরা বাঁকে করে শিবের মাথায় গঙ্গাজল ঢালেন। বাড়িতেও শিবের পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।
হিন্দুদের কাছে প্রতিটি মাসের গুরুত্ব এক একরকম। এর মধ্যে শ্রাবণ মাস ভগবান শিবের উদ্দেশে নিবেদিত। এই মাসের চারটি সোমবারে শিবের জন্য বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। পূর্ণিমা তিথিতে শ্রবণা নক্ষত্রের সমাবেশ হলে শুরু হয় শ্রাবণ মাস।
কথিত আছে, শ্রাবণ মাসের শুরুতে দেবাসুরের সম্মিলিত প্রয়াসে শুরু হয়েছিল সমুদ্রমন্থনের উদ্যোগ। সেই সময় সমুদ্রের তলদেশ থেকে উঠে আসে মহাগরল কালকূট। দেবতা, অসুর এবং সৃষ্টির সমুদায়কে রক্ষা করার জন্য কালকূট পান করেছিলেন শিব। কিন্তু, সেই সময় তাঁর গলা চেপে ধরেন পার্বতী। ফলে বিষ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। আর সেই কারণেই নীলবর্ণ ধারণ করেছিল শিবের গলা। তাই শিবের অপর নাম নীলকণ্ঠ। এদিকে তখন তাঁর গোটা শরীরে বিষের জ্বালা শুরু হয়। তখনই সেই জ্বালা কমানোর জন্য সমুদ্র থেকে জল নিয়ে এসে শিবের মাথায় ঢালেন দেবতারা। এভাবে জ্বালা উপশনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অভিষেক হয়।
সেই ঘটনা স্মরণ করে শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবারে ভক্তরা বাঁকে করে শিবের মাথায় গঙ্গাজল ঢালেন। বাড়িতেও শিবের পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।
কীভাবে এই পুজো করা হয়---
সকালে আগে স্নান করে নিতে হবে। তারপর বসতে হবে পুজোয়
পূর্ব দিকে মুখ করে পুজোতে বসবেন। আপনার সামনে থাকবে শিবলিঙ্গ
হাতে এক আঁজলা জল নিয়ে ব্রত উদযাপনের সঙ্কল্প করতে হবে
দুধ, দই, ঘি, মধু এবং গঙ্গাজলে শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হবে
অভিষেকের সময়ে জপ করতে হবে পঞ্চাক্ষরা মন্ত্র
অভিষেক হয়ে যাওয়ার পর শিবকে পৈতে, আতপ চাল, বেলপাতা, ফুল নিবেদন করতে হবে
তারপর প্রদীপ ও ধূপ দিয়ে আরতি করবেন
শ্রাবণ সোমবার এই ব্রত করার ফলে শিবের আশীর্বাদ পান ভক্তরা। স্মৃতিশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি পায়। জীবনে কোনও কাজ যদি আটকে থাকে তাহলে তাও অর্জন করতে পারবেন। যে কোনও প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যায়।