সংক্ষিপ্ত

সুখী দাম্পত্য: বিয়ে সারাজীবনের সফর, আর এই সফরে রোমাঞ্চ ধরে রাখতে শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়। কিছু ভুল-ত্রুটি শুধরে কীভাবে বিয়ের সম্পর্ক সফল রাখা যায়, জেনে নিন।

 

সারাজীবন একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি হল বিয়ে। এটি একটি সুন্দর যাত্রা। কিন্তু অনেক সময় ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও এই যাত্রা নীরস হয়ে ওঠে, দূরত্ব তৈরি হয়। তাহলে প্রশ্ন হল, বিয়ের সম্পর্ক সুখী রাখতে ভালোবাসা ছাড়াও আর কি কি জিনিসের প্রয়োজন? বিয়েতে কোন কোন ভুল করা উচিত নয়? আসুন আমরা আপনাদের জানাই ৮টি সাধারণ ভুল (Common Marriage Mistakes) যা আমরা বিয়েতে করে থাকি।

১. ভালোবাসার সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখা

প্রায়শই বিয়ের পর আমরা শুধু স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বজায় রাখি। সঙ্গীর সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করি না। বিয়ের সম্পর্ক রোমাঞ্চকর রাখতে ভালোবাসার সাথে সাথে বন্ধুত্ব অপরিহার্য। হাসি-ঠাট্টা করুন, গোপন কথা ভাগ করুন এবং এমন একটি সম্পর্ক তৈরি করুন যেখানে বন্ধুত্বও আছে। যখন রোমান্স কমে আসে, তখন বন্ধুত্ব আপনাদের সম্পর্ককে দৃঢ় রাখে।

২. অতিরিক্ত অধিকার দাবি না করা

বিয়ের অর্থ এই নয় যে আপনি একে অপরের উপর অতিরিক্ত অধিকার দাবি করবেন। অতিরিক্ত পজেসিভনেস সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।বিয়ের সম্পর্কে বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার জীবনসঙ্গীকে উন্নতি করার সুযোগ দিন, তার উপর বিশ্বাস রাখুন।

৩. কথা বলা বন্ধ না করা

বিয়ের শুরুতে দম্পতিরা একে অপরের সাথে অনেক কথা বলে। কিন্তু ধীরে ধীরে কথা বলা কমে যায়। যার ফলে সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। অনুভূতি গোপন করা বা কঠিন বিষয় এড়িয়ে চলা সমস্যা আরও বড় করে তুলতে পারে। আপনার সুখ-দুঃখ ভাগ করুন এবং আপনার সঙ্গীর কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন। এটি সম্পর্কে দৃঢ়তা এবং মানসিক নৈকট্য আনে।

৪. ধন্যবাদ-দুঃখিত বলা বন্ধ না করা

প্রায়শই বিয়েতে আমরা সঙ্গীর ছোট ছোট কাজকে অবহেলা করি। আমরা তাদের ধন্যবাদ বলি না, ভুল হলে দুঃখিতও বলি না। আমরা যদি ভালোবাসার সাথে এই দুটি শব্দ জীবনসঙ্গীকে বলি, তাহলে সম্পর্ক কখনও খারাপ হয় না। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে সম্পর্কে সম্মান এবং ভালোবাসা বজায় থাকে।

৫. একে অপরের জন্য সময় বের করা

ব্যস্ত জীবনের কারণে অনেক সময় দম্পতিরা একে অপরকে সময় দিতে পারে না। কিন্তু বিয়ের সম্পর্ক সুখী রাখতে একসাথে সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমা দেখা, রাতের খাবার বা ভ্রমণ যাই হোক না কেন, একসাথে সময় কাটান।

৬. নিজের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ

সঙ্গীর যত্ন নেওয়া ভালো, কিন্তু নিজের অবহেলা করা ঠিক নয়। বিয়ের পর প্রায়শই আমরা নিজের যত্ন নেওয়া বন্ধ করে দিই। নিজেকে সুন্দর রাখুন, তাহলেই সঙ্গীর আকর্ষণ বজায় থাকবে। এছাড়াও, নিজেকে সুন্দর রাখলে আপনি खुশি থাকবেন এবং সম্পর্কে ইতিবাচকতা বজায় থাকবে।

৭. ঝগড়া সঠিক ভাবে সমাধান করা

ঝগড়া এড়িয়ে চলার চেয়ে সঠিক ভাবে সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ। যখনই মতবিরোধ হয়, শান্ত থেকে কথা বলুন, আপনার মতামত বিনয়ের সাথে প্রকাশ করুন এবং একসাথে সমাধান খুঁজে বের করুন। সুস্থ আলোচনা এবং বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধান করা ঝগড়া সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে।

৮. একে অপরের ব্যক্তিগত সীমারেখার প্রতি সম্মান দেখানো

বিয়ের অর্থ এই নয় যে সবকিছু ভাগ করতে হবে। প্রতিটি মানুষের কিছু ব্যক্তিগত সীমারেখা থাকে, যা বোঝা এবং সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সঙ্গীকে তার আগ্রহ পূরণ করতে দিন এবং তাকে স্বাধীনতা দিন, এতে আপনাদের সম্পর্ক সুষম এবং দৃঢ় থাকবে।