সংক্ষিপ্ত
দুইজনের সম্পর্কের দুরত্ব কমাতে পারে সঠিক পদ্ধতিতে যোগাযোগ। কিন্তু সম্পর্ক এমনই একটি জিনিস যা সূক্ষ্ম সুতোর ওর দিয়ে চলে। তাই যোগাযোগ নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন।
স্বামী স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে সুস্থ সম্পর্কের চাবিকাঠি হল দুইজনের মধ্যে যোগাযোগ। দুইজনের সম্পর্কের দুরত্ব কমাতে পারে সঠিক পদ্ধতিতে যোগাযোগ। কিন্তু সম্পর্ক এমনই একটি জিনিস যা সূক্ষ্ম সুতোর ওর দিয়ে চলে। তাই সম্পর্কে টানাপোড়ন, লড়াই,ঝগড়া চলতেই থাকে । মাঝেমধ্যে বিশ্বাসেও চিড় ধরে। কিন্তু তা মিটিয়ে নেওয়ার সহজ উপায় হল দুজনের মধ্যে যোগাযোগ। একটি সুখি সুস্থ সম্পর্ক কাজ করার জন্য যোগাযোগ অপরিহার্য। দুজনকেই দুজনের কথা শোনার আর বলার মত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সঙ্গীদের মধ্যে সর্বদা গঠনমূলক কথাবার্তা জরুরি। গাছ বড় করার জন্য যেমন ,সার আর জল দিতে হয় তেমনই একটি সম্পর্ক শক্ত আর দৃঢ়় করার জন্য সেই সম্পর্ককে সময় দেওয়া সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি সম্পর্ক তখনই সুস্থ থাকে যখন দুজনেই দুজনকে সময় দিতে পারে।
সম্পর্ক সুস্থ রাখার সহজ ৭টি উপায়
১. মারামারি , ঝগড়া বন্ধ করতে হবে। মূল্যবোধের পার্থক্য, যোগাযোগ শৈলীর ফারাকের কারণেই দুইজনের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। আর তা মিটিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দুজনের। আর সেই জন্য কথা বলা জরুরি। কীভাবে কথা শুরু করতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তা ঠিক করতে হবে নিজেদেরকেই।
২. উন্নত যোগাযোগ যেকোনও সম্পর্ককে শক্ত করতে পারে। একজনের কথা অন্যজনকে শুনতে হবে। সঙ্গীর দোষ ধরা বন্ধ করে তার কথা মন দিয়ে শুনলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। সর্বদা নিজের মত করে না ভেবে সঙ্গীর মত করেও ভাবতে বা সঙ্গীর দৃষ্টিভঙ্গীতে তা বিচার করতে হবে।
৩. পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে দুজনের উচিৎ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। আর জন্য দুজনের মধ্যে কথাবার্তা জরুরি। তবে দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হলে তা দুজনকেই কিছুটা বিরতি নিয়ে সম্পর্ক ঠিক করার জন্য তৈরি হতে হবে।
৪. সঙ্গী কিন্তু আপনার প্রতিপক্ষ নয়। আর সে আপনার প্রতিযোগী নয়। তাই তার প্রতি সহনুভূতিশীল হতে হবে। সেই কারণে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের মতামত তার সামনে রাখলেও তাতে কখনই জোরর সঙ্গে প্রতিষ্ঠিতা করার চেষ্টা না করাই শ্রেয়। সুযোগ মত তা বলতে হবে সঙ্গীকে।
৫. দ্বন্দ্ব সমাধানের দক্ষতা শিখুন এবং অনুশীলন করুন যেমন আপস, আলোচনা, এবং সক্রিয় শোনা। এই দক্ষতাগুলি আপনাকে আরও উত্পাদনশীল এবং ইতিবাচক উপায়ে দ্বন্দ্বগুলি সমাধান করতে সহায়তা করতে পারে।
৬. প্রয়োজনে সমস্যা সমাধানের জন্য পেশাদারের সাহায্যও নিতে পারেন। কিন্ত তারজন্য তাড়াহুড়ো না করাই শ্রেয়। কারণ অনেকেই রয়েছে যে তার ব্যক্তিগত জীবন অন্যের কাছে খুলে ধরতে চায় না। আর সেইজন্যই এই ক্ষেত্রে দুজনের একত্র প্রয়াসই প্রয়োজন।
৭. আতীতের সঙ্গে বর্তামান পরিস্থিতি মেলাবেন না। অতীত অতীতই থেকে যায়। সর্বদা অতীতের প্রসঙ্গ না টেনে বর্তমান নিয়ে কথা বলা জরুরি। চাইলে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও করতে পারেন সঙ্গীর সঙ্গে। তবে অতীতে সুখকর স্মৃতি অবশ্যই সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করুন। তাতে দুজনের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।