সংক্ষিপ্ত

পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সম্পর্ক শেষ করার আগে তাকেও সত্যিটা জানিয়ে দিন।

এমন কিছু সম্পর্ক রয়েছে যেখান থেকে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে খনিকের শান্তি মিললেও একটা সময় পরেও তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তখনই অন্য কোনও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। অনেকের ক্ষেত্রেই একটানা বাড়িতে থাকতে গিয়েই ঘটছে বিপত্তি। প্রকাশ্যেই পর্দাফাঁস হয়ে যাচ্ছে পরকীয়ার। সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে নিত্যদিনের অশান্তি। এরকম পরিস্থিতিতে হামেশাই পড়ছেন কাপলরা। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন। আর কীভাবেই বা সুখী দাম্পত্যে ফিরবেন, রইল সমাধানের উপায়।

এই সমস্যায় পড়লে সবার প্রথমেই মিথ্যা বলে ভুল করতে যাবেন না, এতে সমস্যা সমাধান তো হবেই না উল্টে সমস্যা আরও বাড়বে। সম্পর্কে কেন জড়িয়েছিলেন সেই কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় দাম্পত্য জীবনে বিশেষ কোনও সমস্যার কারণে বা কোনও বিবাদের জেরেই অন্য সম্পর্কে পা রাখেন যে কোনও ব্যক্তি। সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে যখন এসেই পড়েছে তাই সেটা নিয়ে অযথা ঝামেলা না বাড়িয়ে নিজের জীবনসঙ্গীকে বলে দিন।বিষয়টি দশ কান হওয়ার থেকে নিজের মুখেই সবটা বলুন। এক্ষেত্রে সবকিছু জানার পরে বিবাদ আরও বাড়তে পারে, হয়তো এর পরিনামও অনেক খারাপ হতে পারে। যদি পুরোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে নিজেদের দাম্পত্যে ফিরতে চান তাহলে আর দেরি না করে নিজের সঙ্গীকে সমস্ত বিষয় খুলে বলুন।

 

 

পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সম্পর্ক শেষ করার আগে তাকেও সত্যিটা জানিয়ে দিন। সম্পর্ক থেকে একবার বেরিয়ে গেলে আবেগপ্রবণ ভাবে কখনও যোগাযোগ রাখবেন না এটা নিজের মনে আগে স্থির করুন। সব ভুলে সংসারে, নিজের সঙ্গীকে মন দিন। ছেলে হোক বা মেয়ে যেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তাকেই সবার আগে দোষারোপ দেওয়া হয়। কিন্তু একে অপরকে দোষ না দিয়ে কেন পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন সেই কারণটি খোঁজার চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে সঙ্গীকে সারপ্রাইজও দিতে পারেন। এতে সম্পর্কটা ধীরে ধীরে ঠিকও হয়ে যেতে পারে। অনেকসময়েই দেখা যায় সঙ্গী পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসলেও সেই বিশ্বাসটা আর ফেরে না। কিছু করুক বা নাই করুন সবসময় সন্দেহের তির তার দিকেই থাকে। এই সমস্যাটা খুবই খারাপ। তাই নতুন করে বিশ্বাস করানো খুব কঠিন। তাই যতটা সম্ভব দুজনেই সবকিছু খোলাখুলি আলোচনা করুন। আলোচনার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি সমাধান মেলে।