- Home
- Lifestyle
- Relationship
- বয়সের ফারাক কত হলে বাড়বে প্রেম? জেনে নিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের কত বছরের পার্থক্য থাকা ভালো
বয়সের ফারাক কত হলে বাড়বে প্রেম? জেনে নিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের কত বছরের পার্থক্য থাকা ভালো
জীবনসঙ্গী বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কত বছরের বয়সের পার্থক্য থাকা উচিত তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। তবে বিশেষজ্ঞরা কিছু নির্দিষ্ট বয়সের পার্থক্যের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
- FB
- TW
- Linkdin
অনেক বেশি বয়সের পার্থক্য এবং খুব কম বয়সের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও অনেক দম্পতিকে আমরা সুখে সংসার করতে দেখি। দুজনের মধ্যে সच्चा ভালোবাসা থাকলে বয়স কোনও বাধাই না, এটাই বলেন অভিজ্ঞরা। অনেকে আবার মনে করেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য থাকা উচিত। তাহলে আসুন জেনে নেই আদর্শ বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য এই বয়সের পার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দম্পতির জীবনে বয়সের পার্থক্যের প্রভাব সরাসরি পড়ে বলেও মনে করেন গবেষকরা। কম বয়সের পার্থক্য থাকলে দম্পতির মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হয় বলেও মত অনেকের।
আমাদের দেশে একটা সময় ছিল যখন ছেলের থেকে মেয়ের বয়স কম হওয়াটা জরুরি ছিল। বর্তমানে সেই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। ছেলেরা নিজেদের থেকে দুই থেকে তিন বছরের বড় মেয়েকেও বিয়ে করছেন। কার বয়স বেশি হওয়া উচিত সেটা বলা মুশকিল। তবে বয়স্কদের মতে ছেলের বয়স বেশি হওয়া উচিত।
দম্পতির মধ্যে বয়সের পার্থক্য তাদের মানসিক এবং আবেগগত দিককে প্রভাবিত করে। তবে শুধুমাত্র বয়সের পার্থক্যই দুজনের সম্পর্ককে মজবুত করে তা কিন্তু নয়। বয়স ছাড়াও আরও অনেক বিষয় জীবনে প্রভাব ফেলে। বয়সের পার্থক্যের পছন্দ সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনের অভিজ্ঞতা, ভালোবাসা, বোধশক্তি এবং একে অপরের প্রতি মনোভাবের উপর। বর্তমানে ছেলে বা মেয়ে উভয়েরই অধিকার আছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে তারা কত বছরের বয়সের পার্থক্য চান।
দুজনে যদি একে অপরের ভালোবাসায় তৃপ্ত থাকেন তাহলে বয়সের পার্থক্য কখনই আপনাদের সম্পর্ক বা দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে না। যেকোনও সম্পর্কের সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য কেবল বয়সের পার্থক্যকেই দায়ী করা যায় না। তবে অনেকেই এই কারণ দেখিয়ে সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যান।
শহরাঞ্চলে বয়সের পার্থক্য নিয়ে ধারণা কম। বলা যায়, বয়সের পার্থক্যকে বড় করে দেখার মানসিকতা কমেছে। গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেক ক্ষেত্রে ছেলের বয়স মেয়ের থেকে দুই-চার বছর বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করা হয়। তবে অনেক বেশি বয়সের পার্থক্য থাকলে গ্রামের মানুষ তা সহজে গ্রহণ করতে পারেন না। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আদর্শ বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত।
কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে হওয়া উচিত। তবে কার বয়স বেশি হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে দম্পতির। বয়সের পার্থক্য একান্তই ব্যক্তিগত বিষয় বলে মনে করে গবেষকরা।