সংক্ষিপ্ত

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি পবিত্র সম্পর্কের মতো। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে বলব যে বিয়ের পরপরই এমন কিছু কাজ করা উচিত নয়, যা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে তিক্ত করে তুলতে পারে।

ভারতীয় সমাজে বিয়ে একটি উৎসবের মতো। সবাই তাদের বিয়ের জন্য অনেক প্রস্তুতি নেয়। কোনো ধরনের ঘাটতি যাতে না হয় সেজন্য সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া হয়। বিয়ের পর দুজন অপরিচিত মানুষ সম্পর্কে এলে একটি নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়, যাকে বলা হয় স্বামী-স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি পবিত্র সম্পর্কের মতো। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে বলব যে বিয়ের পরপরই এমন কিছু কাজ করা উচিত নয়, যা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে তিক্ত করে তুলতে পারে।

বিয়ের পরপরই এমন ভুল করবেন না

বিয়ের পরপরই স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একে অপরের অচেনা হন অনেক ক্ষেত্রেই। এমন পরিস্থিতিতে একে অপরকে বুঝতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু এই সময়ে, অর্থাৎ যদি বিবাহ সম্প্রতি হয়ে থাকে, তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন কোনো কথাবার্তা হওয়া উচিত নয় যা বিয়ের শুরুতেই সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমান সময়ের মতো প্রায় সবারই অতীত থাকে।

এমন অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর উচিত তাদের পুরনো সঙ্গীর কথা একে অপরের সামনে না বলা। এর সাথে সাথে আপনার সঙ্গীর সামনে আপনার পুরানো সঙ্গীর প্রশংসা বা কথা বলবেন না, তা না হলে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে।

স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি আরও মনোযোগ দিতে হবে

বিয়ের পর স্ত্রী ও স্বামীর খেয়াল রাখতে হবে যেন দুজনেই একে অপরের আত্মীয়-স্বজনের যত্ন নেয়। স্বামী-স্ত্রীর কোনো আত্মীয়কে এমন কথা বলা উচিত নয়, যা আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। বিশেষ করে স্বামীর প্রতি বেশি নজর দিতে হবে। তার শ্বশুরবাড়ির লোকদের এমন কিছু বলা উচিত নয় যাতে আপনার স্ত্রী খারাপ বোধ করে এবং আপনার উপর রাগ করে।

একে অপরকে সম্মান

স্বামী-স্ত্রীর একে অপরকে সম্মান করা উচিত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকতে হবে, যাতে একটি ভালো ও মজবুত সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করা যায়। সেই সাথে স্বামী-স্ত্রীর উচিত তাদের পুরনো সম্পর্ক ভুলে এগিয়ে যাওয়া কারণ আজকাল দেখা যায় কিছু মানুষ বিয়ের পরেও তাদের পুরনো সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে দেন। এভাবে চলতে থাকলে কখনই স্বামী বা স্ত্রী তাঁদের বর্তমান সম্পর্কে মনোযোগ দিতে পারবেন না। সম্পর্ক তিক্ত থেকে তিক্ততর হয়ে যাবে ও বিষয়টি ডিভোর্সের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।