সংক্ষিপ্ত
বিখ্যাত ম্যাচমেকার সীমা তাপারিয়া বলেছেন, তরুণরা, উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার পরে, শোনার এবং তাদের নিজের কাজ করার প্রবণতা রাখে না।
যে কোনও মানুষের জীবনেই সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু বর্তমানে ব্যস্ততা বাড়ছে। আর যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই তৈরি হচ্ছে জটিলতা। আগের তুলনায় যোগাযোগ এখন অনেক সহজ। কোনও খবর পাঠাতে দুই দণ্ডের বেশি সময় লাগে না। কিন্তু তারপরেও বর্তমানে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব অনেকটাই কম। কমছে সম্পর্কের গ্রহণযোগ্যতা। সম্পর্কের এই ভাঙণের পিছনে রয়েছে পাঁচটি কারণ।
একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বিখ্যাত ম্যাচমেকার সীমা তাপারিয়া বলেছেন, তরুণরা, উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার পরে, শোনার এবং তাদের নিজের কাজ করার প্রবণতা রাখে না। এই আর্থিক স্বাধীনতা এবং ফোকাস তৈরি করে। তারা অন্যদের কথা শুনতে চায় না। একটি সফল সম্পর্কের জন্য ধৈর্য্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের কাছে ধৈর্য একটি অধরা বস্তু। ধৈর্যের চরম অভাব রয়েছে। আর সেই কারণেই যে কোনও সম্পর্ক সহজে ভেঙে যায়।
বর্তমানে সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার পাঁচটি কারণ এখানে রয়েছে।
১. প্রতিশ্রুতিতে না
সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল প্রতিশ্রুতি দিতে ভয় পাওয়া। দ্রুতগতির বিশ্বে, যেখানে সবকিছুই আমাদের নখদর্পণে পাওয়া যায়, মানুষ এক ব্যক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার ভয় তৈরি করেছে। অনেকগুলি বিকল্প এবং বিভ্রান্তির সঙ্গে, লোকেরা প্রায়শই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়াকে চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করে।
২. যোগাযোগের অভাব
যোগাযোগ যে কোনো সফল সম্পর্কের চাবিকাঠি। যাইহোক, আজকের ডিজিটাল যুগে, যোগাযোগ আরও উপরিভাগীয় এবং কম ব্যক্তিগত হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং টেক্সটিংয়ের মাধ্যমে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু মুখোমুখি দেখা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে গেছে। আর সেই কারণেই সম্পর্কের স্থায়ীত্ব কমছে।
৩. অবাস্তব প্রত্যাশা
মানুষ একটি নিখুঁত সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তার ছবি এবং গল্প দিয়ে প্রকার করছে। কিন্তু সকলেরই সম্পর্ক যে একধরনের হবে তার কোনও কথা নেই। অনেকেই অবাস্তব প্রত্যাশার দিকে ঝুঁকছে। সেইক্ষেত্রে সম্পর্কে ভাঙন অনিবার্য হয়ে উঠছে। সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হচ্ছে হতাশা আর অসন্তোষ।
৪. প্রচেষ্টার অভাব
একটি সফল সম্পর্কের জন্য দুই পক্ষের সমান প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। আজকের তাত্ক্ষণিক তৃপ্তির সংস্কৃতিতে, লোকেরা প্রায়শই চ্যালেঞ্জ বা দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হলে খুব দ্রুত সম্পর্ক ছেড়ে দেয়। ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে নতুন অংশীদার খোঁজার সহজলভ্যতাও তাদের বিদ্যমান সম্পর্কগুলিতে কাজ করার চেষ্টা করার পরিবর্তে লোকেদের এগিয়ে যাওয়া সহজ করে তুলেছে।
৫. অসঙ্গতি
বর্তমানে সম্পর্ক স্থায়ী না হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল বেমানান দাম্পত্য। অনলাইন ডেটিং এর কারণে দুটি মানুষ অনেক সময় মিল দেখেই সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যায়। তারা একে অপরের মূল্যবোধ সম্পর্কে কোনও খোঁজ রাখে না। বিশ্বাসের ধারধারে না। কিন্তু পরবর্তীকালে দুজনেই একে অপরের মধ্যে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি খুঁজে পায়। কিন্তু সেগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে না। আর সেই কারণে সম্পর্কে ভাঙন অনিবার্য হয়ে ওঠে।