সংক্ষিপ্ত
বিয়ের আগে গভীরভাবে প্রেম করেও অনেকে বিয়ের পর ঝগড়া করে। 'তুমি বদলে গেছো.. বিয়ের আগে যেমন ছিলে তেমন নেই' - এই কথাগুলো প্রায়ই শোনা যায়।
'বিয়ের আগের মতো বিয়ের পর প্রেম চোখে পড়ে না। এটা একে অপরের উপর থাকা অধিকারে, একে অপরের জন্য নেওয়া দায়িত্বে থাকে।' এটি মজিলী সিনেমার নাগা চৈতন্যের সংলাপ। বাস্তবেই বিয়ের আগে ও পরে প্রেম প্রকাশে পরিবর্তন আসে। প্রেমের জায়গায় দায়িত্ব আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ফাঁক আসে। তবে বিয়ের আগে তাদের সঙ্গী তাদের কেন ভালোবাসে না তার পাঁচটি কারণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। সেগুলোই এখন জেনে নেওয়া যাক।
আশা পূরণ না হওয়া
বিয়ের আগে প্রেমিকা তার প্রেমিককে নায়ক হিসেবে ভাবে। তেমনি প্রেমিক প্রেমিকাকে নায়িকা হিসেবে কল্পনা করে। তার প্রেমিক তার জন্য কিছু করবে এই অনুভূতিতে থাকে। অনেক আশা থাকে। তবে বিয়ের পর সেই আশা পূরণে অনেকে ব্যর্থ হয়।
বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে তৈরি করা আশা পূরণ না হলে প্রেমের উপর বিশ্বাস কমে যায়। তাদের সঙ্গী তাদের আশানুরূপ নয় এই ধারণা শুরু হয়। সময়ের সাথে সাথে এটি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার দিকে নিয়ে যায়।
দায়িত্ব বৃদ্ধি
প্রেম কেবল দুজনের ব্যাপার। বিয়ে দুটি পরিবারের ব্যাপার। বিয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই অনেক দায়িত্ব বেড়ে যায়। বাড়ির দায়িত্ব থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে ভাবতে চাপ বাড়ে। স্বাভাবিকভাবেই বিয়ের আগে এসব কিছু থাকে না।
এই চাপে পড়ে থাকে। ফলে তার সঙ্গী তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না এই অনুভূতি হয়। এটিও প্রেম কমে যাওয়ার অনুভূতির কারণ বলে মনে করা হয়।
সময় না দেওয়া
বিয়ের আগে একে অপরের জন্য অনেক সময় ব্যয় করে। তবে বিয়ের পর প্রেমের জায়গায় দায়িত্ব আসে। ফলে চাকরি, ব্যবসার ব্যস্ততায় সঙ্গীকে দেওয়া সময় কমে যায়। এটিও প্রেম কমে যাওয়ার অনুভূতির কারণ বলে মনে করা হয়।
তবে সঙ্গীর সাথে অবশ্যই সময় কাটাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। অল্প সময় হলেও মানসম্পন্ন সময় কাটাতে হবে, এতে সম্পর্ক দৃঢ় থাকে বলে সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।
নেতিবাচক দিক
বিয়ের আগে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে কেবল ইতিবাচক কথোপকথন হয়। ফলে তাদের নেতিবাচক দিকগুলো খুব একটা গুরুত্ব পায় না। কিন্তু বিয়ের পর ব্যক্তির অন্য দিকগুলোও দেখা যায়। প্রতিটি মানুষের ভালো-মন্দ দুটোই থাকে। সেই খারাপ দিকগুলো সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয় বলে সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
বিঃদ্রঃ সঙ্গীদের মধ্যে এ ধরনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে সমাধানের জন্য কাউন্সেলিং সেশনের মতো সুযোগ রয়েছে তা মনে রাখা উচিত।